টলিউড ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood Federation Case) অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এলো এক নতুন মোড়। কিছু মাস আগেই একাধিক পরিচালকরা মিলে টেকনিশিয়ান ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন। অভিযোগের কারণ ছিল একটি সংবাদমাধ্যমে স্বরূপবাবুর মন্তব্য। যেখানে তিনি বলেছিলেন, “যৌ’ন হেন’স্থার (Sexual Harassment ) অভিযোগগুলির প্রায় ৬০ শতাংশই পরিচালক ও প্রযোজকদের বিরুদ্ধে এসেছে।” এই মন্তব্যই আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে।
তবে এবার একে একে মামলা থেকে সরে আসছেন সেইসব পরিচালকরা। প্রথম দিকেই সরে যান পরিচালক শ্রীজিৎ রায়। এরপরে সৌমেন হালদারও একই সিদ্ধান্তে আসেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন অভিনেত্রী তথা পরিচালক ‘মানসী সিনহা’র (Manasi Sinha) নাম। তিনি স্পষ্ট জানালেন, নতুন পরিচালক হিসেবে তিনি সিনিয়রদের পথ অনুসরণ করেছিলেন। কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল সেটা বলতে দ্বিধা করেননি তিনি।
স্বরূপবাবুর কথায় আঘাত পেয়েই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু এখন যখন অভিজ্ঞরা নিজে থেকেই পিছু হটছেন। তাই আইনগত জটিলতা বাড়িয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পথে না গিয়ে তিনি নিজে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। মানসীর মতে, “একটি কাজের সঙ্গে অনেক মানুষের রুটি-রুজির প্রশ্ন জড়িয়ে থাকে, কাজ বন্ধ হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় নতুন প্রযোজক এবং টেকনিশিয়ানদের।” নিজেকে শুধুমাত্র পরিচালক নয়, বরং নিজেকে পরিবারের সদস্য হিসেবে ভাবতে ভালোবাসেন তিনি।
সেই দায়িত্ব থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর। মানসীর মতে, “জটিলতা এড়িয়ে কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা জরুরি।” তিনি আরও বলেন, স্বরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কোনও রাগ নেই, বরং বরাবরই তিনি সহযোগিতাপূর্ণ ব্যবহার পেয়েছেন তাঁর কাছ থেকে। তাই একটা বক্তব্যের জন্য যদি ভুল বোঝাবুঝি হয়, তবে তা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়াই বোধহয় বুদ্ধিমানের কাজ।
আরও পড়ুনঃ বর্ষা-বুবলাইয়ের দাম্পত্য জীবনে আগুন লাগল! বর্ষার প্রেমিককে নিয়ে প্রশ্ন তুলল বুবলাই! তবে, কী এবার কমলিনীর সংসার থেকে বর্ষার পাঠ উঠতে চলেছে?
আইনের জটিল পথে হাঁটার ফলে ইন্ডাস্ট্রির পরিবেশ আরও অস্থির হয়ে উঠছে বলে মনে করেন মানসী। এখন দেখার বিষয় টলিউডের অন্যান্য পরিচালকদের সিদ্ধান্ত কি হয়। মানসীর মতো আরও কেউ কি একই পথে হাঁটবেন? না কি ফেডারেশনের বিরুদ্ধে অভিযোগের লড়াই চালিয়ে যাবেন কিছু অংশ? ১৬ জুন এই মামলা সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানি। তার আগে আবার নতুন করে উত্তাপ ছড়াবে কিনা, সেটাই দেখার বিষয়।