অভিনেত্রীর সিদ্ধান্তে অবাক অনুরাগীরা! আচমকা সমাজ মাধ্যম ছাড়লেন দেবচন্দ্রিমা! টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখের হঠাৎ সরে দাঁড়ানো ঘিরে জল্পনা! নেপথ্যে কোন কারণ?

ছোট পর্দার অভিনেত্রী ‘দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়’ (Debchandrima Singha Roy) আবার খবরের শিরোনামে। ধারাবাহিকে নিজের অভিনয় দক্ষতা প্রমাণ করার পাশাপাশি তিনি সমাজমাধ্যমেও ভীষণ জনপ্রিয় মুখ। ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, ফেসবুক, সব জায়গাতেই রয়েছে তাঁর লক্ষাধিক অনুগামী। অনুরাগীদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত ছবি, রিল এবং ভ্রমণ ভিডিও শেয়ার করেন তিনি। তবে এবার আচমকা এক সিদ্ধান্তে সকলকে চমকে দিলেন দেবচন্দ্রিমা! নিষ্ক্রিয় হচ্ছেন, আর তাও সমাজ মাধ্যমের দুনিয়া থেকে।

এদিন নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলেই এই ঘোষণা করেছেন দেবচন্দ্রিমা। জানিয়েছেন, আসন্ন ঈদ পর্যন্ত তিনি নিজেকে সরিয়ে রাখবেন ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের মতো মাধ্যম থেকে। অর্থাৎ সাময়িকভাবে তিনি ‘ডিজিটাল ডিটক্স’-এর পথে। যদিও এই সিদ্ধান্তের পিছনে যে বিশেষ কোনও আবেগঘন কারণ রয়েছে, সেটাও স্পষ্ট করেছেন অভিনেত্রী। দেবচন্দ্রিমার জীবনে একটি বড় জায়গা জুড়ে রয়েছে তাঁর পোষ্যরা— ডলার ও ইউরো।

actress decision

এই দুই সঙ্গী প্রায়শই হাজির হয় তাঁর প্রোফাইলের ভিডিও বা ছবিতে। পশুপ্রেম যে তাঁর হৃদয়ের গভীরে, তা স্পষ্ট এই সব থেকেই। তবে হয়তো চারপাশের কিছু বাস্তবতাই এই মুহূর্তে তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে। পশুহত্যার নানা খবর, উৎসবের নামে হিংসার চেহারা হয়তো তাঁর মতো সংবেদনশীল মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে আরও বেশি, তাই দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

সমাজ মাধ্যমে নিয়মিত সক্রিয় থাকা একজন শিল্পীর কাছে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে বড় ব্যাপার। কারণ, এখান থেকেই আসে প্রচুর ব্র্যান্ডিং, ভক্ত ও আয়ের সুযোগ। তবু দেবচন্দ্রিমা বুঝিয়ে দিলেন, মাঝে মাঝে ‘না বলা’ই সবচেয়ে বড় বার্তা। তবে এই বিরতি কেবল তাঁর ব্যক্তিগত পরিসরে সীমাবদ্ধ। অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন, সমাজ মাধ্যম থেকে সরে গেলেও অভিনয় বা তাঁর পেশাগত কাজে কোনওরকম বিরতি আসবে না।

আরও পড়ুনঃ মানসিক চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েছে আদৃত! এদিকে, আদিকে ফাঁসানোর জন্য মোক্ষম অস্ত্র রয়েছে ডোনার হাতে! তবে, কি ডোনার সেই কথাই ভাঙন ধরাবে শুভলক্ষী-আদৃতের জীবনে?

এই সময়ের অনেক অভিনেত্রী যেখানে অনলাইনে আরও বেশি করে ফেমাস হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন, সেখানে দেবচন্দ্রিমার এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী। সময়ের সঙ্গে নিজেকে সামঞ্জস্য রেখে চলা যেমন জরুরি, তেমনই কখনও কখনও থেমে গিয়ে নিজের চারপাশকে উপলব্ধি করাও সমান জরুরি। দেবচন্দ্রিমার এই সিদ্ধান্ত হয়তো অনেককেই ভাবতে শেখাবে নতুন করে।