স্বামীর প্রতি অবিশ্বাস নিয়ে রায় বাড়ি ছাড়ল শুভলক্ষী। স্টার জলসার গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিকে আজকের পর্বে দেখা যাবে, ছেলে সমস্ত কুকীর্তি শোনার পরেও সেবন্তী আদির স্বপক্ষে কথা বলছে। সেবন্তীর মতে, শুভ যেনো মোহনার সন্তানকে মেনে নেয়। শুভর সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়ে বাড়ির সকলের মধ্যেই ঝামেলা সৃষ্টি হয়।
এমন সময় শুভ মনে মনে ভাবতে থাকে আজ তাকে ঘিরে বাড়ির সবার মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে আকাশ বলতে থাকে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার বোন এখানে থাকবে। এর সঙ্গে এও বলে যে, সে তার বোনকে এখানে রেখে যাচ্ছে বলে এমনটা নয় মোহনার কোন খোঁজ রাখবে না। সে মাঝে মাঝে এসেই তার মনের খোঁজ নেবে এবং তার যেন এখানে ঠিকঠাক যত্ন হয় এমনটাও বলে যায় আকাশ।
এরপর, মোহনা শুভকে বলে তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ওপরই সকলের জীবন নির্ভর করছে। এমন সময় শুভ কিছু না বলে ওপরে চলে যায় আর তাঁর পিছু পিছু যায় আদি। এমন সময় সেবন্তীর থেকে বাড়ির সবাই উত্তর জানতে চাই যে বাড়ীর বড় ছেলে কি করে এমন কাজটা করতে পারল?
এরপর, শুভ ঠাকুর ঘর থেকে গোপাল নিয়ে নিজের ঘরে চলে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এমন সময় শুভকে অনবরত ডাকতে থাকে আদি। কোন সারা শব্দ না দিয়ে অনেকক্ষণ পর দরজা খুললেই দেখতে পাওয়া যায় শুভ ব্যাগ গুছিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। আদি অনেকবার তাকে আটকাতে চাইলেও তার কোন কথা শোনে না শুভ।
এমন সময় বাড়ি ছেড়ে শুভ চলে যাচ্ছে দেখে বাড়ির সবাই অবাক হয়ে যায় শ্রাবন্তী তাকে নানান ভাবে বারংবার আটকাতে চাইলে সে কারোর কথা শোনে না। শুভ বলে ‘সে যার বিশ্বাসে এখানে এসেছিল, এই সংসারে পা দিয়েছিল আজ আমার সেই জায়গা অন্য কাউকে দিতে হলে আমাকে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে।’
এরপর শুভ বলে সে কেশবকে নিয়ে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে। সেবন্তী শুভ সমস্ত কথা শুনলেও এই কথা শুনে রেগে যায়। সেবন্তি বলে তার নাতিকে নিয়ে এর বাড়ি ছেড়ে গেলে তার মরা মুখ দেখবে শুভ। শুভ এমনটা শুনে বলে সে এই বাড়ির নাতিকে কখনোই এই বাড়ি থেকে নিয়ে যাবে না। এদিকে, ঠাম্মি ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা korchev আজ এমন অশান্তির জেরে তার সংসার টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে। কিভাবে এই সমস্যা থেকে উদ্ধার পাবে? সেই জন্য প্রার্থনা করছে ঠাম্মি।
আরও পড়ুনঃ “প্রতারিত নয়, ওরাই প্রতারক!”—পূজা-কুণালের বিরুদ্ধে বি’স্ফোরক অভিযোগ! অপহরণ, হুমকি ও অর্থ আদায়ের দাবিতে মুখ খুললেন পরিচালকের স্ত্রী! চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনে কি জানালেন তিনি?
আর অন্যদিকে বাড়িতে এমন অশান্তি হচ্ছে বলে দাদুর শরীর ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। অবশেষে শুভ কি কেউ আটকাতে না পেরে বাড়ি ছেড়ে চলে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে দাদু অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর, শুভ রাস্তায় বেরিয়ে মনে মনে ভাবতে থাকে যে বিশ্বাসের জন্য নদীয়া থেকে নিউইয়র্ক এসে আদিদের বাড়িতে থেকেছে এমনকি আদির সঙ্গে বিয়ে করেছে এই বাড়িতে সংসার করেছে আজ সেই বিশ্বাসটাই তার ভেঙে গেছে। এমন ভাবতে ভাবতে মন খারাপ করতে করতে শুভ চলে যায়।
“আমাদের দিদি নাম্বার ওয়ান একজনই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু বাংলার নন, ভারতের দিদি নাম্বার ওয়ান!”— রচনার মন্তব্যে ফের উত্তাল নেটপাড়া! শুরু বিতর্ক, নেটিজেনরা বলছেন, ‘চাটুকারিতা’ ‘সস্তা রাজনৈতিক মন্তব্য!’