কিছুদিন আগেই সামাজ মাধ্যমে এক ঝড় তুলেছিলেন তারকা দম্পতি ‘পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়’ (Puja Banerjee) ও ‘কুণাল বর্মা’ (Kunal Verma)। ঘনিষ্ঠ বন্ধুর দ্বারা প্রতারিত (Fraud Allegation) হয়ে সর্বস্ব হারানোর কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময় তাঁদের পোস্ট দেখে সহানুভূতিতে ভরে উঠেছিল অনুরাগীদের মন। সকলেই পূজা-কুণালের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই ঘুরল মোড়। এবার তাঁদের বিরুদ্ধেই উঠল এমন অভিযোগ, যা শুনে চোখ কপালে উঠেছে নেটিজেনদের!
শনিবার এই বি’স্ফোরক দাবি করেছেন প্রযোজক ও পরিচালক শ্যামসুন্দর দে-র স্ত্রী মালবিকা দে। সমাজ মাধ্যমে তিনি একাধিক ব্যক্তিগত নথি ও ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের প্রমাণ দেখিয়ে দাবি করেন, প্রতারিত হননি পূজা ও কুণাল, বরং তাঁরাই নাকি আসল প্রতারক! শুধু প্রতারণা নয়, তাঁর স্বামী শ্যামসুন্দর দে-কে অপ’হরণ ও হু’মকি দিয়ে টাকা আদায় করার মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তিনি এই অভিনেত্রী-অভিনেতার বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, শ্যামসুন্দর দে টলিউডের অন্যতম পরিচিত পরিচালক ও প্রযোজক। ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য’ কিংবা ‘সোনার পাহাড়’-এর মতো উল্লেখযোগ্য ৬০টি ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। এদিন মালবিকার বক্তব্য অনুযায়ী, ৩১ মে গোয়াতে একটি ব্যবসায়িক সফরে ছিলেন শ্যামসুন্দর দে। সেই সময় আচমকাই গাড়ি থামিয়ে তাঁকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। জোর করে তাঁকে এক অজানা জায়গায় নিয়ে গিয়ে চলতে থাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।
তাঁর দাবি, প্রায় ৬৪ লক্ষ টাকা না দিলে মাদ’ক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুম’কি দেওয়া হয় শ্যামকে। ভয়ে পড়ে তিনি ২৩ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন। সেই টাকার কিছু অংশ পূজার সহকারী মুনমুনের হাতে নগদে ও কিছু পূজা-কুণালের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আরটিজিএস-এর মাধ্যমে পাঠানো হয়। তবে এখানেই থেমে থাকেননি মালবিকা। তিনি আরও জানান, ওই সময় শ্যামের মোবাইল কেড়ে নিয়ে বিভিন্ন পাসওয়ার্ড ও ব্যক্তিগত তথ্য আদায় করেন পূজা ও কুণাল।
আরও পড়ুনঃ বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে কমলিনী! নতুন করে সংসার করতে নারাজ সে! তার কথা কি সমাজ মেনে নেবে? এই পরিস্থিতিতে কমলিনীর হাত ধরবে কে?
এমনকি শ্যামকে তাঁদের হয়ে কথা বলতেও বাধ্য করা হয় এবং সেই বক্তব্য ভিডিও করেও রাখেন তাঁরা। এই ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, অবশেষে গোয়ার এসপি-র তৎপরতায় উদ্ধার করা হয় তাঁর স্বামীকে। মালবিকার বিস্ফোরক অভিযোগে কার্যত স্তব্ধ বিনোদন মহল। এখনও পর্যন্ত পূজা ও কুণালের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া না এলেও, এই ঘটনায় টলিপাড়ায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।