চন্দ্রর সঙ্গে সংসার করতে চায় না কমলিনী, তাই আত্মীয়দের ডেকে বিচারসভা বসিয়েছে তার শাশুড়ি। স্টার জলসার চিরসখা ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যাবে, কমলিনীর শাশুড়ি এবং তার দিদি মিলে আলোচনা করছে কমলিনীর আজকালকার ব্যবহার নিয়ে। এরপর কথায় কথায় কমলিনীর মাসি শাশুড়ি তার বোনকে বলে, এতদিন ধরে মনে হচ্ছে এবার বুবলাই ও বর্ষা যা যা বলতো তা ঠিকই বলত।
এই শুনে চাঁদুর মা অবাক হয়ে যায় এবং তার কথা কিছুতেই বিশ্বাস করতে চায় না। কমলিনীর শাশুড়ির মতে সে এতদিন নতুন এবং তার বৌমার মধ্যে এমন কোন কিছু দেখেনি যা দেখে সন্দেহ করা যায়। এরপর, কথায় কথায় তিনি কমলিনীর বাপের বাড়িতে ফোন করে সবটা জানায় আর বলে আজকে জানে তারা এই বাড়িতে আসে মেয়েকে বোঝানোর জন্য।
ওদিকে, কমলিনীর বাপের বাড়ির লোক যতই তাকে দেখছে অবাক হয়ে যাচ্ছে কারণ এতদিন পর তার স্বামী ফিরে আসায় কোথায় না সে আনন্দ করবে উল্টে সে বিরক্ত বোধ দেখাচ্ছে সবাইকে। কিন্তু কেন? এই প্রশ্ন চলতেই থাকে কমলিনীর মা-বাবা, দাদার মনে। এমন সুযোগের সদ্ব্যবহার নিয়ে কমলিনীর বৌদি সকলকে খানিকটা তার কথার মাধ্যমে উসকে দিয়ে বলে তারা যেন ভালো করে জানতে চায় কমলিনী কেন এমন করছে?
এরপর, বাড়িতে চলে এসেছে কমলিনীর বাপের বাড়ির লোক এমনকি, বর্ষার বাপের বাড়ির লোকও এসেছে তাঁদের বেয়াইকে দেখার জন্য। কমলিনীর বাবা-মা আসা মাত্রই তার শাশুড়ি একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে সকলের সামনে বিচার করতে বসেছে। কিন্তু, সকলেরই এখন একটাই বক্তব্য কমলিনী নয় অনুষ্ঠান করে বিয়ে করতে চায় না এটা মানা যায়। কিন্তু, তার স্বামী ফিরে আসা সত্ত্বেও সিঁদুর মেনে বৈবাহিক জীবন পালন করবে না এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না কমলিনীর পরিবারসহ পুরো সমাজ।
আরও পড়ুনঃ “সোনার ভরি এক লক্ষ, তবু ধারাবাহিকে অভিনেত্রীদের গা ভর্তি গয়না!” “বাস্তবতা হারিয়ে যাচ্ছে আজকের ধারাবাহিক থেকে”— ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ‘জন্মভূমি’র পিসিমা তথা বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মিতা চট্টোপাধ্যায়!
এমন সময়, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে যতটা পারছে কুর্চি এবং মিটিল কমলিনীকে সমর্থন জানাচ্ছে। এদিকে, সাধু জানায় তার বউ যদি তাকে না মেনে নেয় তাহলে সে গৃহত্যাগ করবে। এদিকে পরিবারে আবার এমন কেউ কেউ রয়েছে যারা এই পরিস্থিতিটা দেখে রীতিমতো আনন্দ উপভোগ করছে। কিন্তু, তবুও কমলিনী জানায় সবাই তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও সিদ্ধান্ত সে নিজেই নেবে। এদিকে, চুপচাপ থাকা স্বতন্ত্র কিছুই বলে না। এমন সময়, বুবলাই তাঁর মাকে কথা শোনাতেও ছাড়ে না।