“আমরা ঈশ্বরের সন্তান, অন্যের দুঃখ আমাদেরও”, “জীবন অনিশ্চিত, ভালোবাসাই শেষ কথা!”— আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার পর অন্নসেবা নন্দিনীর! মানবিক বার্তা নিয়ে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন! টিভির ঝিলিক নয়, বাস্তবের নন্দিনীকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সবাই!

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ‘নন্দিনী দত্ত’ (Nandini Dutta), বেশ কিছুদিন আগেই শেষ করলেন স্টার জলসায় ‘দুই শালিক’ (Dui Shaik) ধারাবাহিকে অভিনয়। এর আগে কালার্স বাংলায় ‘রাম-কৃষ্ণা’ (Ram Krishna) ধারাবাহিকেও বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। তবে ঝিলিক চরিত্রটি যেন তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। টিআরপির (TRP) নিরিখে তেমন ফল না করতে পারলেও, ‘দুই শালিক’ ধারাবাহিকে নন্দিনীর জনপ্রিয়তা রাতারাতি বৃদ্ধি পায়। সমাজ মাধ্যমেও নেহাতই অনুগামীর সংখ্যা কম নয় অভিনেত্রীর।

নন্দিনীর প্রাণখোলা স্বভাবে সবাই মুগ্ধ। কিছুদিন আগেই ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এর মঞ্চেও এসেছিলেন তিনি। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ‘আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা’ বিশ্বব্যাপী শোকের সৃষ্টি করেছে, টলিউডের বাকি শিল্পীদের মত নন্দিনীর মনকেও ছুয়ে গেছে এই শোক। সমাজ মাধ্যমে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী রায় বিভিন্ন পোস্ট ও স্টোরির মাধ্যমে নিজেদের শোক যাপন করেছেন। তবে নন্দিনী বেছে নিলেন ব্যতিক্রমী পথ।

এদিন সমাজ মাধ্যমে অভিনেত্রীর একটি ভিডিও দেখে, সবাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ! ‘নারায়ণী-অন্নসেবা’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাত ধরে নন্দিনী, কিছু দুস্থ মানুষদের মুখে একবেলার অন্ন তুলে দিলেন। নিজেই সমাজ মাধ্যমে সেই ভিডিও প্রকাশ্যে এনে ক্যাপশনে লিখেছেন,”অত্যন্ত মর্মান্তিক AL-171 বিমান দুর্ঘটনাটি আবারও আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল জীবন কতটাই না অনিশ্চিত।

&

nbsp;

শেষবারের মতো ‘বিদায়’ বলা, ‘সরি’ বলা, ‘ভালোবাসি’ বলা বা নিজের প্রতি ভালোবাসা খুঁজে পাওয়ার কথা বলারও সুযোগ অনেক সময় আর থাকে না। শেষ আলিঙ্গনের সুযোগও মেলে না। আমরা ভুলেই গিয়েছিলাম, ছোট ছোট জিনিসগুলিই আসলে জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। ভুলে গিয়েছিলাম, প্রতিটি নিঃশ্বাসের জন্য ঈশ্বরকে কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত। আমি বিশ্বাস করি, সহজ জীবন আর হৃদয়ের নির্মলতা দিয়েই বেঁচে থাকা সম্ভব।

আরও পড়ুনঃ “এই ইন্ডাস্ট্রিতে নতুনরা সুযোগ পয়েই আগেভাগে বিলাসিতায় বাঁচতে শুরু করে, তারপর কাজের অভাবে আ’ত্মহ’ত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নেয়!” “বিলাসিতা বিষয়টা আমার কোনদিনই ছিল না!”—টলিউডে বর্তমান প্রজন্মের হাল নিয়ে বি’স্ফো’রক মন্তব্য শ্রীলেখার! 

অহংকার দূরে সরিয়ে রেখে যেকোনো সম্পর্কে ক্ষমা চেয়ে আবার জোড়া লাগানো, এই তো প্রকৃত জীবন। মানুষের ভালোবাসাতেই তো আমার বাঁচা। আমি ঈশ্বরকে কৃতজ্ঞতা জানাই, প্রতিটি মুহূর্তের জন্য। আমার হৃদয় সেইসব স্বজনহারা মানুষদের দুঃখে কাঁদছে। আমি কোনো অতিমানব নই, আমি শুধুই ঈশ্বরের একটি সন্তান। আন্না সেবা-কে অসংখ্য ধন্যবাদ—এই উপলব্ধির সুযোগ দেওয়ার জন্য।” অভিনেত্রীকে এমন উপলব্ধির জন্য ছোট থেকে বড় সবাই ভালোবাসা ও আশীর্বাদে ভরিয়ে দিচ্ছেন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।