স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় চন্দ্রের দ্বিতীয় স্ত্রী আসতেই নান মনগড়া কাহিনী এঁটে বলতে থাকে চন্দ্র। চন্দ্র স্বপ্নেও ভাবেনি যে তার বাড়িতে চলে আসবে তাঁরা। চন্দ্র বলে, শত্রুদের হামলায় তার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে গিয়েছিল সে একটা হোমে ছিল, যেখানে নাকি সহিনীরা নিজেদের স্বার্থে লোকেদের আটক করে রাখত।
কিন্তু চন্দ্রকে তাঁরা সেটা করেনি, কারণ তাকে নাকি অনেকটা সোহিনীর স্বামীর মতন দেখতে। আর সেই জন্য তাঁর মেয়েও চন্দ্রকে বাবা বলে ডেকে ফেলে। স্মৃতিশক্তি হারানোর কারণে সে নাকি ফিরে আসতে পারেনি কমলিনীর কাছে, কিন্তু সোহিনীরা রটিয়ে ছিল যে মারা গেছে সে। সোহিনীকে একপ্রকার বাধ্য করতে থাকে চন্দ্র, বলার জন্য যে তার সঙ্গে কোনও সস্পর্ক নেই তাঁদের।
কমলিনী লক্ষ্য করে চন্দ্র ‘আপনি’ না বলে ‘তুমি’ করে কথা বলছে! যদি সোহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক না থাকে তাহলে এটা কেন? সোহিনী বলে, সে বাধ্য করেছিল এমন করতে। কারণ স্বরূপ সোহিনী বলে, চন্দ তাঁর স্বামীর খোঁজ জানত বলেই তাঁকে আটকে রেখেছিল এতোদিন। সোহিনী জানায়, তাদের সংসার ভেঙে দিয়ে চন্দ নিজে সুখে সংসার করবে, এটা মানতে না পেরেই এমন করেছে।
কারণ সোহিনীর বিশ্বাস চন্দ্র তাঁর স্বামীর খু’নি! এরপর কমলিনীর কাকাবাবু ওই মহিলাকে প্রশ্ন করেন, স্বামীর বিষয়ে আর কেন চন্দ্রকে আটকে রেখেছিল। সোহিনীর কথায় একাধিক অসঙ্গতি মেলে। স্বামী হারিয়ে যাওয়ার যে গল্প বলছে সোহিনী, কারোরই বিশ্বাস হয় না। এরপর চন্দ্রর দ্বিতীয় পক্ষের মেয়েকে বয়স জিজ্ঞাসা করেন কাকাবাবু।
আরও পড়ুনঃ অবশেষে মোহনার পর্দা ফাঁস, প্ল্যান করে সত্যিটা জানল আদৃত!
মেয়েটি সত্যি কথাই বলতেই, তাঁর বয়সের সঙ্গে বাবার হারিয়ে যাওয়ার হিসেব কিছুতেই মেলে না! সবার সামনে স্পষ্ট হয়ে যায়, যে সোহিনীর মা হওয়ার আগেই স্বামী নিখোঁজ হয়ে যায়, তাহলে এই সন্তানটির বাবা কে?— কমলিনী চন্দ্রকে প্রশ্ন করে। চন্দ্র কিছুই বলতে পারে না! কাকাবাবু বলেন, সত্যিটা জানতে এবার আইনী তদন্তের পথেই হাঁটতে হবে।