প্রয়াত তারকা-রাজনীতিক ‘তাপস পাল’ (Tapas Paul) -এর মেয়ে ‘সোহিনী পাল’ (Sohini Paul) শুরুটা করেছিলেন মুম্বই থেকে। একাধিক প্রথমসারির হিন্দি ধারাবাহিকে কাজ করে ধীরে ধীরে নিজের জায়গা পাকা করেছিলেন তিনি। ২০২০ সালে বাবার আকস্মিক প্রয়াণ বদলে দিল ছবিটা, মা নন্দিনী পালের একমাত্র ভরসা হয়ে কলকাতায় ফিরে এলেন সোহিনী। পাঁচ বছর কেটে গেছে, শহরের প্রত্যেকটা ছবির বিশেষ প্রদর্শনীতে মা-মেয়ের উপস্থিতি এখন প্রায় রোজকার দৃশ্য। তবু বাংলা চলচ্চিত্র বা টেলিভিশনের পর্দায় তাঁকে দেখা যায় না কেন?
এই প্রশ্নটা বারবারই ঘুরে আসে। শুক্রবার সায়ন্তন ঘোষালের ‘ম্যাডাম সেনগুপ্ত’ দেখতে এসেছিলেন নন্দিনী এবং সোহিনী। সেখানেই আড্ডার ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমকে সোহিনী জানালেন, বলিউডেই ছিল তাঁর মূল ঘাঁটি, বাংলায় কিছু ভালো কাজের পর ফের মুম্বই ফেরা— এটাই ছিল পরিকল্পনা। কিন্তু বাবার চলে যাওয়া সেই ছক ভেঙে দেয়। “মা একা থাকবেন কী করে? সেটাই বড় চিন্তা,” বলতে গিয়েই দৃষ্টিতে একরকম দায়বদ্ধতা ধরা দিল তাঁর।
আজও টলিউডে অনেকে অবশ্য সন্তানসম ভালবাসা ভরিয়ে দেন অভিনেত্রীকে। তাপসের সহ-শিল্পীরা তাঁকে অনায়াসে ডেকে নেন ঘরের মেয়ের মতো। তাই সিনেমার প্রিমিয়ারগুলো সোহিনীর ভাষায়— “আত্মীয়ের বাড়ির গেটটুগেদার।” তবে মনখারাপ কি হয়? অভিনয়ের ফাঁকা কোলাহল কি কখনও কুরে কুরে খায় না? মুখে মৃদু হাসি নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, “খারাপ লাগবে কেন!”
সোহিনী স্পষ্ট জানালেন, কাজের জন্য রোজ রোজ ফোন করে কাউকে বিরক্ত করতে তিনি স্বচ্ছন্দ নন। “সবাইকে বলে রেখেছি, চরিত্র পেলে অবশ্যই জানাবেন। এখন অপেক্ষা, ধৈর্য— আর নিজের আত্মসম্মান,” খোলাখুলি স্বীকারোক্তি তাঁর। সোহিনীর কণ্ঠে বাবার আদর্শ শোনা গেল, “বাবাকে দেখেছি, কাজের প্রতি ভালবাসা আর শৃঙ্খলাই আপনাকে টিকে থাকতে শেখায়। সুযোগ আসবে, তখনই আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়াব।
আরও পড়ুনঃ ‘বছরের পর বছর কাজ নেই, কেউ কিছু বলে না!’ ইন্ডাস্ট্রিরই একাংশকে কি কটাক্ষ করলেন শ্রীলেখা?
আপাতত প্রহর গোনা ছাড়া আর কোনও উৎকণ্ঠা নেই অনেকেই ভাবেন, তারকা-কন্যা মানেই অফারের ছড়াছড়ি! ফ্যাক্টটা যে বেশ আলাদা!”— সেটাই স্পষ্ট করলেন তিনি। এখন সময়টা কাটাচ্ছেন পরিবারকে নিয়েই। মায়ের পাশে থাকা আর নিজের লেখালিখিতে মন দেওয়াতেই ব্যস্ত সোহিনী। তাঁর বিশ্বাস, ঠিক চরিত্র আসবেই, বেগতিক হলে আবার হয়তো মুম্বই ফিরে যাবেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।