“প্রোডাকশন হাউসের সহযোগিতায় আমার সহ-অভিনেতার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিলাম”— দিতিপ্রিয়ার ঝামেলার ইতি টানলেন! এক পোস্টে জীতুর সঙ্গে বিবাদের শুরু, আরেকটিতে অবসান! টেলিপাড়ায় শান্তি ফেরার আভাস!

টেলিপাড়ায় সম্প্রতি উত্তেজনা ছড়িয়েছে ‘জীতু কামাল’ (Jeetu Kamal) এবং ‘দিতিপ্রিয়া রায়’ (Ditipriya Roy) এর মধ্যে চলমান বিবাদের কারণে। সোমবার রাতে দিতিপ্রিয়া একটি পোস্ট করেন, যেখানে স্পষ্টভাবে কোনও নাম না করে জানানো হয় যে, একাধিকবার তাকে অভিনেতার পক্ষ থেকে ‘অপ্রত্যাশিত’ বার্তা পাঠানো হয়েছে। এই অভিযোগে তিনি প্রকাশ্যে তার অসন্তোষ ব্যক্ত করেন, যা দর্শকদের মধ্যেও ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করে। টেলিপাড়া এই ঘটনা নিয়ে নানা রকম তর্ক বিতর্কে বিভক্ত হয়।

জীতু কামালও বিষয়টির গভীরতা বুঝে সাড়া দেন এবং দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে চলা কথোপকথনের স্ক্রিনশট প্রকাশ করে নিজের পক্ষ থেকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। তিনি জানান, তিনি শুটিং ফ্লোরে পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে চান এবং ব্যক্তিগত বিরোধ সেখানেও নিয়ে আসতে চান না। জীতুর দাবি যে, তিনি মুখোমুখি আলোচনা থেকে বিরত রয়েছেন এবং হোয়াটসঅ্যাপে কথাবার্তাও শুধুমাত্র কাজ সংক্রান্ত ছিল। এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন, এসব অভিযোগের পেছনে কারো প্ররোচনা থাকতে পারে।

দিতিপ্রিয়ার পক্ষ থেকে বেশ কিছুদিন কোনও জবাব আসেনি, কিন্তু এদিন তিনি আবারও ছোট একটি পোস্ট করে জানান যে, প্রোডাকশন হাউসের সহযোগিতায় তার সহ-অভিনেতার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি দূর করা হয়েছে। এই পোস্ট থেকে স্পষ্ট হয় যে, সবরকম দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে ধারাবাহিকের কাজ আগের মতোই চলবে। এই ঘোষণায় অনুরাগীদের মধ্যে এক ধরনের প্রশান্তি এবং সন্তুষ্টি ফিরে এসেছে। নাহলে কিছুদিন যাবত, ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।

জীতু কামাল যদিও এই বিষয়ে আগেই আশ্বস্ত করেছিলেন, যে তিনি তার প্রযোজক এবং চ্যানেলের কাছে দায়বদ্ধ, তাই কখনওই অপেশাদার সিদ্ধান্ত নেবেন না। তিনি বলেছিলেন, শরীর ভালো না থাকলে কিংবা বড় কোনো সমস্যা না হলে কাজ থেকে সরবেন না এবং এনওসি দেওয়ার ব্যাপারে কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই। তিনি চ্যানেল এবং প্রোডাকশন সংস্থার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানাবেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাবেন।

আরও পড়ুনঃ “আমি কোনো প্রজেক্ট ছেড়ে দেবো না”— ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ছেড়ে কোথাও যাচ্ছেন না অভিনেতা, জিতু কমলের পেশাদারিত্বের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি!

শেষ পর্যন্ত জীতু কামাল ও দিতিপ্রিয়ার মধ্যে যেকোনও ভুল বোঝাবুঝি মিটে গেছে এবং পেশাদারিত্ব বজায় রেখেই ধারাবাহিকের কাজ আগেভাগেই চলছে। তবে সমাজ মাধমে একাধিক মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘ধারাবাহিকের টিআরপি বাড়ানোর সস্তা কৌশল ছিল এই মিথ্যে ঝামেলা।’ যদিও পর্দার ওপরে আর্য-অপর্ণার মধ্যে কি কারণে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে শেষ পর্যন্ত ‘সবশেষ ভালো তার সব ভালো’—এই কথাটি যেন সত্য প্রমাণিত হলো।