আজ টলিউডে (Tollywood) বৃহস্পতিবারের সকাল যেন হয়ে উঠল উৎসবের দিন। প্রথমবারের মতো শহরের কিছু প্রেক্ষাগৃহে একেবারে ভোরেই শুরু হল শো, আর তার কেন্দ্রবিন্দুতে দেব-শুভশ্রী (Dev-Subhree)has অভিনীত বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘ধূমকেতু’ (Dhumketu)। ভোর ৬টা থেকে শুরু হয় দর্শকদের ভিড়, হাতে ব্যানার-পোস্টার, মুখে উচ্ছ্বাস। প্রায় ১০ বছর পর এই জনপ্রিয় জুটিকে বড়পর্দায় দেখতে পেয়ে ভক্তদের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। এই আগ্রহ শুধু দর্শকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, শুভশ্রীর স্বামী ও পরিচালক ‘রাজ চক্রবর্তী’ও (Raj Chakraborty) যোগ দিয়েছেন উচ্ছ্বাসে।
উল্লেখ্য, ছবিটির শ্যুটিং শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালের অক্টোবরে, কিন্তু নানা জটিলতার কারণে মুক্তি আটকে যায় দীর্ঘ এক দশক। এই সময়ের মধ্যে দেব ও শুভশ্রী একসঙ্গে কোনও প্রজেক্টে কাজ করেননি। একসময় তাঁদের প্রেম ও বিচ্ছেদ ছিল টলিপাড়ার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সেই অতীত ভুলে তাঁরা আবারও একসঙ্গে এসেছেন, আর তা সম্ভব হয়েছে ধূমকেতু-র গল্পের জন্যই। মুক্তির দিনটিকে তাই অনেকেই দেখছেন এক নতুন সূচনা হিসেবে।
শুভশ্রীও আগেই জানিয়েছিলেন, দেবের সঙ্গে অতীত তাঁর কাছে এখন ‘ডিলিটেড চ্যাপ্টার’। প্রসঙ্গত, ৪ আগস্ট নজরুল মঞ্চে ছবির ট্রেলার লঞ্চে দেব-শুভশ্রীকে পাশাপাশি দেখে দর্শকরা ফিরে গিয়েছিলেন ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’ এবং ‘চ্যালেঞ্জ’-এর নস্ট্যালজিয়ায়। সেখান থেকে শুরু হওয়া আবেগের স্রোত মুক্তির দিন এসে পৌঁছায় চরম পর্যায়ে। এমনকি মুক্তির আগের দিনও তাঁদের একসঙ্গে দেখা গেছে নৈহাটির বড়মার মন্দিরে, যা ভক্তদের মনে আরও উত্তেজনা বাড়িয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের পুনর্মিলন নিয়ে যেমন প্রশংসার ঢেউ উঠেছে, তেমনি মজার মিমও ঘুরছে রাজ চক্রবর্তী ও রুক্মিণী মৈত্রকে কেন্দ্র করে, যদিও তাঁরা এসব নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামাননি। রাজ চক্রবর্তী মুক্তির দিন ফেসবুকে লিখেছেন, ”এত বছরের প্রতীক্ষা এবার শেষ। ‘ধূমকেতু’র উদযাপন শুরু হোক। প্রত্যেকটা প্রেক্ষাগৃহে উন্মাদনা চোখে পড়ার মত। দেব-শুভশ্রী, কৌশিক, রানা সহ গোটা টিমকে আমার তরফ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। কেউ বড়পর্দায় ধূমকেতু মিস করবেন না কিন্তু!”
আরও পড়ুনঃ টিআরপিতে স্টার জলসার একচেটিয়া রাজত্ব, জি বাংলার বড় ধাক্কা! ‘রাণী ভবানী’র জয়জয়কারে আসনচ্যুত ‘পরিণীতা’! কামাল চিরসখার
তাঁর মতে, প্রেক্ষাগৃহে এই ছবির জন্য যে উন্মাদনা, তা বিশেষভাবে মনে রাখার মতো। রাজের এই পোস্ট প্রমাণ করে, ব্যক্তিগত সম্পর্কের উত্থান-পতন পেরিয়েও শিল্পকে তাঁরা সবাই সমানভাবে সম্মান করতে জানেন। শুভশ্রী নিজের জীবনদর্শনও ভাগ করে নিয়েছেন এই সময়। তাঁর মতে, জীবনে কষ্ট মানে আমরা যা চাই তা না পাওয়া, আর সেই কষ্ট কাটিয়ে উঠতে হলে মেনে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া জরুরি। হয়তো এই জীবনদর্শনই তাঁকে অতীত ভুলে বর্তমানকে গ্রহণ করতে সাহায্য করেছে, যা এবার বড়পর্দায় প্রতিফলিত হয়েছে ধূমকেতু-র মাধ্যমে।