মৌয়ের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন চললেও প্লুটোর মনে শুধু মিঠি! অনুষ্ঠানের দিন মিঠির নামেই বয়ে এল ঝড়, বি’ষ ছড়াল অনন্যার কটাক্ষ! বৃদ্ধা শাশুড়ির জন্য লড়াইয়ে নামল কমলিনী, প্রতিবাদে কড়া হুঁশিয়ারি চন্দ্র-সোহিনীকে!

স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, প্লুটো মিঠির সামনে নিজের আইবুড়ো ভাতের দিনেই বলে ফেলে, সে এখনও মিঠিকে ভালোবাসে। তবে মিঠির কাছে এই কথাটা কোনও আবেগ নয়, বরং এক বিশাল অপমান। কারণ যেখানে প্লুটোর বিয়ে হতে চলেছে মিঠির মামাতো বোনের সঙ্গে, সেখানে দাঁড়িয়েই প্রাক্তন প্রেমিকাকে ভালোবাসার প্রস্তাব দেওয়া মিঠির কাছে অমর্যাদার সমান। সেই মুহূর্তে মিঠি স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এমন অপমান করার অধিকার কোনওদিনই পায়নি প্লুটো।

মিঠির এই তীব্র প্রতিক্রিয়ায় সেখানে উপস্থিত সকলে চমকে যায় এবং মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অন্যদিকে অধরা মাধুরীতে দেখা দেয় এক ভিন্ন সংকট। চন্দ্রের বৃদ্ধা মা-কে রান্না করে খাওয়ানোর মতো কেউ নেই। সোহিনী কোনও কাজ করতেই অস্বিকার করে, তাই অগত্যা মাকে নিজের হাতে রান্না করে খেতে হচ্ছে। এতে বড় নাতি বুবলাই প্রস্তাব দেয়, যেহেতু তার পিসি কুর্চি এই বাড়িতেই থাকে, তাই অন্তত ঠাকুমার জন্য একটু রান্না করা উচিত তার। অথচ বুবলাইয়ের বউ বর্ষা কিছুই করবে না।

Pluto's Spineless Character In Chiroshokha Sparks Debate On Such Men Deserve Love Or Not

কিন্তু কুর্চি সেই কথা শুনে ক্ষেপে ওঠে, জানিয়ে দেয় সে বাড়িতে থাকে বলেই তাদের দাসী নয়! এর জেরে অশান্তি আরও বাড়ে এবং ঘরে নতুন এক দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। এমন পরিস্থিতিতে কমলিনী, যে একসময় এই সংসারেরই বউ ছিল, বুঝতে পারেন শাশুড়ি কেমন সমস্যায় পড়েছেন। তাই চন্দ্র ও তার স্ত্রীকে কড়া ভাষায় সতর্ক করে সে জানিয়ে দেয়, নিজের শাশুড়িকে অবহেলা করা হলে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দিতে বাধ্য হবে কমলিনী। এমনকি স্পষ্ট করে দেন কমলিনী, যদি কিছু না করা যায়, নিজের খাবার থেকেও শাশুড়ির জন্য আলাদা ব্যবস্থা করবে।

তাঁর মতে, বয়স্ক মায়ের এই অপমান কোনওভাবেই সহ্য করা যায় না। এই মানবিক সিদ্ধান্তে হয়তো এবার শাশুড়ির সহানুভূতি পাবে কমলিনী। অন্যদিকে প্লুটো-মৌয়ের বিয়ের তোড়জোড় জোরকদমে এগোচ্ছে। প্লুটোর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলছে, কিন্তু তার মন পড়ে আছে মিঠির দিকেই। পরিবারের সবাই উচ্ছ্বসিত হলেও প্লুটোর মনে বারবার ভিড় করছে মিঠির স্মৃতি। অনুষ্ঠান শেষে যখন তারা মৌয়ের বাড়িতে পৌঁছায়, তখনও পরিস্থিতি থেমে থাকেনি। ওখানেও মিঠিকে ঘিরে নতুন করে তির্যক মন্তব্য আর বিদ্রূপ শুরু হয়।

আরও পড়ুনঃ “সিনেমা দেখে ইতিহাস শিখলে, ইউটিউব দেখে সাঁতার শিখে নাও!”—’দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ নিয়ে ঋত্বিকের ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট! ‘ইতিহাস শেখা যায় শুধু আপনার আঁত’লামিতেই!’ ‘আজব হিপোক্রেট, ক্যালকাটা রা’য়ট ১৯৪৬ হয়নি নাকি?’– ধুয়ে দিল নেটপাড়া

সবচেয়ে বড় বি’স্ফো’রণ ঘটে প্লুটোর মা অনন্যার কথায়। তিনি সরাসরি স্বাতন্ত্রর সামনে মিঠিকে নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেন। অনন্যার মতে, প্লুটোর কোনও দোষ নেই, মিঠিই ইচ্ছা করে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তবে স্বাতন্ত্র স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এসব নিয়ে কথা বলার একটুও ইচ্ছা নেই তার। কিন্তু তবুও বোঝা যায়, আসন্ন বিয়ের মধ্যেও মিঠিকে ঘিরে ঝড় থামছে না। বরং মৌয়ের বাড়িতেও তাকে নতুন করে কটূক্তি আর মানসিক চাপে পড়তে হবে।