“নিয়ম মানি না, ভগবানের ভোগ রান্না করার সময় নিজে আগে চেখে দেখি”, ‘সবাইকে এতো সংস্কারের পাঠ দেন আর নিজেই সংস্কার মানেন না?’, ‘এই বয়সেও ঝাল, নুনের আন্দাজ হয়নি?’ নেট পাড়ায় কটাক্ষ মমতা শঙ্করকে

কলকাতার সংস্কৃতি ও শিল্প জগতে দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত মমতা শঙ্কর। শুধু একজন অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী হিসেবে নয়, তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনে ও ভক্তি-চর্চাতেও সকলের কাছেই আলাদা পরিচিতি পেয়েছেন। মমতা শঙ্করের জীবনে পুজো, রান্না এবং পারিবারিক মূল্যবোধের সংমিশ্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি বারবার প্রকাশ করেছেন, যে প্রতিটি কাজের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি সযত্ন ও যত্নপূর্ণ।

সাম্প্রতিক একটি ইন্টারভিউতে মমতা শঙ্কর তার ভক্তি এবং পরিবারের প্রতি মনোভাব নিয়ে কিছু কথা বলেন। তিনি জানান, রান্না এবং পুজোর ক্ষেত্রে তার অভ্যাসগুলির মধ্যে একটি বিশেষ নিয়ম রয়েছে। ছোটবেলা থেকেই তিনি খাবার তৈরিতে সতর্ক থাকেন এবং প্রতিটি রান্নাকেই যত্নের সঙ্গে পরীক্ষা করেন। তার মতে, কোনো খাওয়ার যদি সঠিকভাবে তৈরি না হয়, তাহলে সেটা তিনি কারও জন্য বা ভগবানের জন্য ব্যবহার করতে চান না।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, তার বাগান থেকেও ফুল তোলার আগে তিনি সেই ফুলের গন্ধ নেন। কারণ তার বিশ্বাস, পুজোর জন্য যে কোনো জিনিস নির্বাচন করা হয়, তা নিখুঁত এবং সতেজ হওয়া উচিত। যেমন তিনি নিজের সন্তানের জন্য রান্না করলে আগে নিজে খেয়ে দেখেন, ঠিক তেমনই ভগবানের জন্যও তিনি নিজে পরীক্ষা করে তারপরই পূজা করেন। এই অভ্যাসের মাধ্যমে তিনি নিজের ভক্তি এবং যত্নকে আরও গভীরভাবে প্রকাশ করেন।

ইন্টারভিউতে মমতা শঙ্কর বলেন, “আমি সবসময় চেষ্টা করি, যে কোনো জিনিস যদি ভালো না হয়, তাহলে তা আমি কেন ভগবানকে দেব? আমার পক্ষে তা গ্রহণযোগ্য নয়। তাই আমি আগে নিজে চেখে দেখি। যদি খাবার বা ফুল সবকিছু ঠিক থাকে, তখনই তা পূজায় ব্যবহার করি।” এই সরল অথচ মর্মস্পর্শী বক্তব্য দর্শকদের মধ্যে একটি গভীর প্রভাব ফেলেছে।

মমতা শঙ্করের এই অভ্যাস শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং তার ভক্তি, পরিবার এবং জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে। তার মাধ্যমে বোঝা যায়, যত্ন, সতর্কতা এবং ভালোবাসা যে কোনো কাজের মূল হয়ে দাঁড়াতে পারে। রান্না বা পুজোর জিনিস নির্বাচনই হোক, তিনি সবসময় বিশ্বাস করেন, প্রকৃত ভালবাসা ও মনোযোগের মধ্য দিয়ে সবকিছু নিখুঁত হয়।

আরও পড়ুনঃ “১২ বছরে কুস্তিগীর ছিলাম, এক কেজি খাসির মাংস দিয়ে পঁচিশটা রুটি খেতাম রোজ রাতে!” “আমার জন্য সব আলাদা আসত, হাফ কেজি দুধ খেয়ে ঘুমাতাম!”— আশির কোটা পেরিয়েও প্রাণবন্ত ছন্দা চট্টোপাধ্যায় ফাঁস করলেন খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস! কীভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছিলেন তিনি?

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

https://www.facebook.com/share/r/1AH32qgBh2/