শারদীয়া উৎসবের আমেজে যেন গোটা বাংলা সেজে উঠেছে, সেই আমের এবার যেন টলিউডের (Tollywood Puja Release) একটু বেশিই। একদিকে পেজা তুলোর মত মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে আকাশে অন্যদিকে শহরের রাস্তায় চোখ পরলেই দেখা যাচ্ছে তারকাদের বিশাল কাটআউট। দুর্গাপুজো মানেই যেমন নতুন জামা, তেমন নতুন ছবিও। আর এবার একসঙ্গে চার-চারটে ছবি মুক্তি পেতে চলেছে! এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়— সব মিলিয়ে পুজোর আমেজ একেবারেই জমে উঠছে।
ইতিহাস, রাজনীতি থেকে শুরু করে গোয়েন্দা রহস্য, প্রতিটি ঘরানার ছবি থাকছে এবার। কিন্তু অতীত বলছে, একসঙ্গে এতগুলো বিগ বাজেটের ছবি শুধুমাত্র গল্প দিয়েই বক্সঅফিসে সাফল্য আনবে এমনটা ভাবা ভুল! তাহলে উপায় কী? আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ছবির কন্টেন্ট আর প্রচারই সাফল্যের আসল মাপকাঠি। সেই দিক থেকে প্রচারের ঝাঁঝ এবার অন্য যেকোনও সময়ের চেয়ে আলাদা। মাস খানেক আগেই ছবিগুলির টিম নিজেদের মত করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে জেলার পর জেলা ঘুরে মানুষের কাছে পৌঁছাতে।
আগে যে প্রচার শুধুমাত্র শহরকেন্দ্রিক ছিল, এখন তা বদলে গ্রামগঞ্জেও ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলার– রায়গঞ্জ, মালদা কিংবা অন্য জেলাতেও চলছে প্রচারের ধুম। প্রযোজকেরা বুঝেছেন, দর্শকের মনে জায়গা করতে হলে তাঁদের কাছে পৌঁছানোই প্রথম শর্ত। আর এই উদ্যোগেই যুক্ত হয়েছেন প্রসেনজিৎ, দেব, আবীর, শ্রাবন্তী, মিমি, কৌশানী। প্রতিটি নামই একেকটা ‘ব্র্যান্ড’ বলা যায়। এদিকে প্রচারের এই আবহে আবার সামনে এসেছে পুরোনো বিতর্কের ছায়াও! দেবের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যই নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
কী বললেন মেগাস্টার? দেবের কোথায়, ‘খাদান’ মুক্তির সময় তিনি যে অভিনব প্রচার কৌশল নিয়েছিলেন। গ্রামাঞ্চলে যাওয়া, খোলা মাঠে প্রচার করা— তখন অনেকেই কটাক্ষ করেছিলেন। কেউ বলেছিলেন ‘মাচাস্টারের’ কাজ, আবার কেউ প্রশংসাও করেছিলেন বাজার বোঝার দক্ষতার জন্য। এরপর সেই ছবির সাফল্যের কথা ইন্ডাস্ট্রির কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না। আর আজ সেই একই পথে হেঁটেই নাকি গোটা ইন্ডাস্ট্রি কাজ করছে। নাম না করলেও দেবের বক্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে এক প্রকার দ্বন্দ্ব!
যদিও দেব প্রকাশ্যে কোনও ব্যক্তিকে আক্রমণ করেননি, কিন্তু তাঁর কথার ইঙ্গিত অনেকের দিকেই আঙুল তুলে দেওয়ার মতো। দেবের কথায়, “খাদানের জন্য বেঙ্গল ট্যুর করছিলাম, তখন কিছু মানুষ আমাকে পাগল বলত। বলত কী সব করছে! বাসে করে ঘুরছে। জেলায় জেলায় যাচ্ছে। আজকে গোটা বাংলা ইন্ডাস্ট্রি আমাকে কপি করছে। তাঁরাই এখন জেলায় জেলায় যাচ্ছে, ছবির প্রচার করছে এটা যদিও গুড সাইন।” কেউ বলছেন, এটি আত্মতৃপ্তির বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুনঃ “শিল্পী হয়ে অন্যায় করেছি? এত জ্বালা তোর! আয়ে তুই…কিছু করতে পারিস নি, এত হিংসা!”— মাচায় অপ’মানিত খ’লনায়ক, দর্শকের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়ের! অকথ্য গা’লিগা’লাজে ফেটে পড়লেন তিনি, উত্তপ্ত হল অনুষ্ঠানস্থল!
আবার কেউ মনে করছেন, ইন্ডাস্ট্রির উন্নতির কথা ভেবেই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। ‘গুড সাইন’ বলে তিনি বিতর্ক এড়িয়ে গেলেও নেটিজেনদের বিশ্লেষণ থামেনি। সমাজ মাধ্যমে চলছে তর্ক-বিতর্ক। এটা কি আসলেই গর্ব না খোঁচা? তবে এতকিছুর পরেও মূল প্রশ্ন থেকে যায়, এত প্রচারের বহর কি শেষমেশ ছবিগুলোর বক্সঅফিসে ফল বয়ে আনবে, নাকি গল্পই ভরসা? আপনাদের কী মতামত, একটা ছবির সফলতা কি সত্যিই প্রচার কৌশলে লুকিয়ে থাকে?
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।