“প্রথম অভিনয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন একজন চা বিক্রেতা” ছোট চরিত্র থেকে আজকের নায়ক, চা-ওয়ালাই বদলে দিয়েছিল জীবন! কী করে অভিনেতা হলেন হানি বাফনা? শুনলে অবাক হবেন আপনিও!

টেলিভিশনের পর্দায় বহু মুখ আসে আর হারিয়ে যায়, কিন্তু কিছু শিল্পী রয়েছেন যাঁরা ধীরে ধীরে দর্শকের মনে স্থায়ী আসন তৈরি করে নেন। ছোট চরিত্র দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও, প্রতিভা তাঁদের এগিয়ে নিয়ে যায় অনেকদূর। কলকাতার মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া এক তরুণও সেই স্বপ্নে দেখা পথে হেঁটেছিলেন। প্রথমে সংসার চালানোর জন্য বিক্রয়কর্মীর কাজ করলেও জীবনের মোড় ঘুরল অভিনয়ের জগতে পা রাখার পর। সেই তরুণ হলেন, আজকের অভিনেতা ‘হানি বাফনা’ (Honey Bafna)।

দর্শকদের কাছে শুধু ‘হানি’ নামেই জনপ্রিয় এই অভিনেতা। অভিনেতা হিসেবে তাঁর শুরুটা হয়েছিল জুনিয়র শিল্পীর চরিত্রে, কিন্তু দ্রুতই নিজেকে মুখ্য চরিত্রে পরিণত করতে সক্ষম হন। ‘তুমি আসবে বলে’ ধারাবাহিক দিয়ে তিনি প্রথমবার প্রধান চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন। এরপর একের পর এক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে নিজের জায়গা পাকা করেন তিনি। বিশেষ করে “ভক্তের ভোগবান শ্রী কৃষ্ণ”, “গোয়েন্দা গিন্নি”, “বকুল কথা” কিংবা “প্রথমা কাদম্বিনী”র মতো ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় আলাদা মাত্রা যোগ করেছিল।

Bengali Serials

সুদর্শন চেহারা এবং আত্মবিশ্বাসী অভিনয় তাঁর মহিলা ভক্তসংখ্যাও দ্রুত গতিতে বাড়িয়ে তোলে। অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর পরিশ্রম আর একাগ্রতা তাঁকে এনে দিয়েছে একাধিক স্বীকৃতি। এরই মধ্যে তিনি অর্জন করেছেন জি বাংলা সোনার সংসার পুরস্কার, ১৮তম টেলি সিনে অ্যাওয়ার্ড এবং ২০২১ সালের কলকাতা গ্লিটজ পুরস্কারের মতো সম্মান। এক সাধারণ ছেলেও ইচ্ছে আর প্রতিভা থাকলে কীভাবে পর্দার অন্যতম পরিচিত মুখ হয়ে উঠতে পারে, শিখিয়েছেন তিনি।

বর্তমানে, তিনি সোনামনি সাহার বিপরীতে শুভ বিবাহ’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। তবে কি করে এলেন অভিনয় জগতে? দাদাগিরির মঞ্চে এসে একবার হানি জানিয়েছিলেন, “অভিনয় করব কোনদিনও ভাবিনি। অনেক পেশা পাল্টে পাল্টে আজকে এই জায়গায়। প্রথমে ইভেন্ট ম্যানেজার ছিলাম, তারপর মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ। সেখান থেকে প্রথম অভিনয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন একজন চা বিক্রেতা। একজন প্রোডাকশন ম্যানেজারকে বলেছিলাম, আমি অভিনয় করতে চাই।

আরও পড়ুনঃ শেষ আশ্রয় স্বতন্ত্রকে হারিয়ে কমলিনী ডুবল একাকিত্বে! বিদায় মেনে নিতে পারছে না কেউ, তবুও স্বতন্ত্র সিদ্ধান্তে অনড়! বাবিলের ভরসার মানুষ চলে যাচ্ছে, মিটিলের সম্পর্ক ভাঙার কথায় হতবাক সবাই!

সে তখন ওই চা-দোকানির নম্বর দিয়ে দেখা করতে বলে। সেই মতো দেখা করে, তাকে ছবি দিয়ে আসি আমার। ওই ব্যক্তি স্টুডিওতে চা দেন, প্রোগ্রামারকে আমার ছবি দেখাতেই পছন্দ হয়ে যায়। সাত দিন পরে একটা ছোট্ট রোলে আমাকে ডাকে। সেই থেকেই ছোট ছোট চরিত্র অভিনয় করতে শুরু করি। তারপর একজন মুখ্য চরিত্রের জন্য আমায় পছন্দ করলেন। খুব ভয়ে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে চরিত্রটায় অভিনয় শুরু করি। দার্জিলিংয়ে হয়েছিল সেই শুটিং, আজও ভুলতে পারিনি। এরপর তো বাকিটা সবাই জানে।”

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।