গত মাসের মাঝামাঝি থেকেই দক্ষিণ বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি থেকে শুরু করে ক্রীড়া জগতের বিশিষ্টজনদের বারবার হাজিরা দিতে দেখা গেছে দিল্লির ইডি (ED) দফতরে। আজ অর্থাৎ সোমবার সকালেই হাজিরা দিলেন টলিউড অভিনেত্রী তথা শাসক দলের প্রাক্তন সাংসদ ‘মিমি চক্রবর্তী’ (Mimi Chakraborty)। বেআইনি বেটিং অ্যাপ মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের ডাকে তিনি উপস্থিত হন। নিজের আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়েই তিনি ইডির সদর দফতরে পৌঁছন। সাংবাদিকরা নানা প্রশ্ন করলেও তিনি সেভাবে মুখ খোলেননি।
শুধু জানিয়েছেন, ভেতরে গিয়েই সমস্ত কথাই বলবেন। এই ঘটনার পর রাজনৈতিক মহল থেকে বিনোদন দুনিয়া, সর্বত্রই শুরু হয়েছে আলোচনার ঝড়। সূত্র অনুযায়ী, বেআইনি অনলাইন বেটিং অ্যাপের মাধ্যমে কর ফাঁকি দিয়ে বিপুল অর্থ উপার্জনের অভিযোগ উঠেছে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণার বিষয়টিও সামনে এসেছে তদন্তে। অভিযোগ, বিভিন্ন তারকা এই অ্যাপগুলির হয়ে প্রচার করেছেন এবং এর বিনিময়ে আর্থিক সুবিধাও নিয়েছেন।
মিমি ছাড়াও তালিকায় রয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রৌতেলা। তাঁকে মঙ্গলবার হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। কিছুদিন আগে টলি অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরাকেও তলব করেছিল ইডি। এদিন দফতরে প্রবেশের আগে মিমি খুব সংক্ষিপ্তভাবে প্রতিক্রিয়া দেন, “আমি যখন এসেছি, এবার সব বলব।” সেই সঙ্গে তাঁর হাতে ছিল বেশ কিছু নথি, যা হয়তো আইনজীবীও জমা দেবেন দফতরে। এরপর দীর্ঘক্ষণ দফতরের ভেতরে ছিলেন তিনি, যেখানে তদন্তকারীরা নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
তবে ঠিক কী উত্তর দিয়েছেন অভিনেত্রী, তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। প্রসঙ্গত, এই একই মামলায় ইতিমধ্যেই ডাকা হয়েছে ক্রীড়াজগতের বড় তারকাদেরও। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ওপেনার ‘শিখর ধবন’ এবং ‘সুরেশ রায়না’কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে প্রশ্ন করা হয়েছে কিছুদিন আগেই। ধবনের বয়ানে নতুন তথ্য মেলায়, তা নথিভুক্ত করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। রায়নাকেও আগেই ডাকা হয়েছিল তদন্তে। ফলে বিষয়টি কতটা বিস্তৃত সেটাই স্পষ্ট হচ্ছে ধীরে ধীরে।
আরও পড়ুনঃ ‘বড়লোকের বিটি লো’ গেয়ে সারা বাংলার গর্ব হয়ে উঠেছিলেন স্বপ্না চক্রবর্তী! বাংলা লোকসঙ্গীতের সোনালি কণ্ঠ, আজ চরম দুর্দশায় কাটছে তাঁর জীবন! শিল্পীর শেষ বয়সের সংগ্রাম চোখে জল আনবে আপনাদেরও!
এদিকে বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, আগামী দিনে ক্রীড়া এবং আরও বিনোদন জগতের অনেক জনপ্রিয় মুখকে এই মামলায় তলব করা হতে পারে। আপাতত অনেকের নজর রয়েছে মিমি এবং উর্বশীর জবানবন্দিতে। তদন্তের গতি কোন দিকে যায় এবং এই মামলায় কারও বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয় কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়। দর্শক-অনুরাগী থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। সময়ই বলবে এই মামলায় আর কার কার নাম উঠে আসবে এরপর।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।