পুজোর মরশুমে ১০ বছর পর আবার মুক্তি পাচ্ছে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের (Srabanti Chatterjee) নতুন ছবি ‘দেবী চৌধুরানী’ (Devi Chowdhurani)। শেষবার ২০১৫ সালে মেগাস্টার দেবের সঙ্গে ‘শুধু তোমারই জন্য’ মুক্তি পেয়েছিল। এবার চিত্রটা খানিক পাল্টেছে। এবার মেগাস্টার ‘রঘু ডাকাত’ নিয়ে অভিনেত্রীর মুখোমুখি যুদ্ধে নামবেন। যদিও শ্রাবন্তী তা মানতে নারাজ। তাঁর মতে, লাভ-ক্ষতির হিসেব তিনি কখনওই করেন না। শুধুমাত্র দর্শকের ভালো লাগার কথা মাথায় রেখেই ছবি বাছেন।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘দেবী চৌধুরানী’র সঙ্গে তার চারিত্রিক অনেক মিল রয়েছে। অভিনয়ে জগতে আসার আগেই, তিনি মা হয়েছেন। প্রসঙ্গত, অনেকবার তিনি জানিয়েছিলেন যে ক্লাস ইলেভেনে পড়াকালীনই ‘ঝিনুক’ তার গর্ভে আসে। এরপর সংসার সুখ কার্যত মেলেনি অভিনেত্রীর। তিনবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেও, পরিণতি বিচ্ছেদই হয়েছে। কিন্তু শ্রাবন্তীর কথা, ছেলেই তার জীবনের বড় অনুপ্রেরণা। সম্পর্কটা মা-ছেলের হলেও, বন্ধুর মতো একে অপরকে আগলে রাখেন সব সময়।
অত কম বয়সে মা হয়েছেন বলে অনেকেই ‘এঁচোড়ে পাকা’ বলে কটাক্ষ করতেন। বর্তমানে দাঁড়িয়ে অতীতের সেই সিদ্ধান্তকে উচিত বলেই মনে করেন শ্রাবন্তী। তার কথায়, কম বয়সে মা হওয়ায় অনেকটা সময় কাজে দিতে পেরেছেন। ছেলের সঙ্গে মাত্র এক দশকের পার্থক্য অভিনেত্রীর, একইসঙ্গে বড় হচ্ছেন বলা যায়। বিভিন্ন সময় তিনি এটাও জানিয়েছিলেন, ছেলে এখন পরিণত বয়সের দিকে এগোচ্ছে। ফলে সম্পর্কে জড়িয়েছে স্বাভাবিকভাবে, তাঁকে নিয়ে মাঝে মাঝে বাড়িতেও আসে আর একসাথে তিনজনে থাকেন।
এই নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। সম্প্রতি সেই সমালোচনার আগুনেই ঘি ঢাললেন শ্রাবন্তী নিজেই! তিনি বলেন, “ঝিনুকের বন্ধুরা আমারও বন্ধু। আমাকে কেউ আন্টি বলে না, সবাই দিদি বলে! জেন-জিদের সঙ্গে মিশতে বেশ ভালো লাগে। লিঙ্গ নিয়ে ওরা অনেক বেশি সচেতন, ওদের কথা বুঝতে কোনও সমস্যা হয় না আমার।” এই কথাতেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক সমাজ মাধ্যমে! কেউ বলছেন, “এবার ছেলের বন্ধুদের একজনকে পছন্দ করে বিয়েটা করে ফেলুন এবার।” অন্যজন ব্যঙ্গ করে বলেছেন, “তাহলে নিশ্চয়ই আপনার ছেলেকে ‘দিদির ভাই’ বলে ডাকে ওরা!”
আরও পড়ুনঃ আর জি কর আন্দোলনে প্রতিবাদী হওয়ার জের! শহরে বাতিল হল অভিনেত্রীর তিনটে খুঁটিপুজোর অনুষ্ঠান, শহর ছাড়ছেন অভিনেত্রী?
আবার কেউ সরাসরি কটাক্ষ করেছেন, “ছোট বয়সে মা হওয়াটা খারাপ নয়, ছেলের বন্ধুরা যদি দিদি বলে ডাকে বরং সেটাই লজ্জার। ছিঃ!” একই কথায় সহমত পোষণ করে একজন বলেছেন, “সন্তানের বন্ধুরাও সন্তান। এটা কোনওদিনই মেনে নেওয়া যায় না, মায়ের চোখে যাকে দেখা উচিত তাকে দিদি বলে ডাকছে। এখানে আপনার শিক্ষার কমতিটাই চোখে দেখা যাচ্ছে বেশি। মনে হচ্ছে কথাগুলো শুনে, আপনি নিজেই নিজেকে ছেলের দিদির আসন দিয়েছেন! এটা নিয়ে গর্ব করবেন না আর।”