পুজো মানেই নতুন জামাকাপড়, নতুন জুতো আর আনন্দের হাওয়া। বয়স যতই হোক না কেন, উৎসবের সময় মনটা সবসময়ই খুশিতে ভরে ওঠে। তবে এর মধ্যেই নজর কাড়লেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের এক প্রখ্যাত মুখ বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। বয়সের ভারে শরীর আগের মতো না থাকলেও, তিনি এখনও পুজোর প্রস্তুতিতে রাখলেন বিশেষ ছোঁয়া।
সম্প্রতি স্ত্রী মৈত্রী চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বেরিয়েছিলেন কেনাকাটায়। সঙ্গে ছিলেন আরও দুই সহকারী। শহরের এক দোকানে হঠাৎই তাঁকে দেখে ভিড় জমিয়ে ফেলেন ছবিশিকারিরা। দীর্ঘদিন পরে জনপ্রিয় অভিনেতাকে কাছে পেয়ে অনেকে উচ্ছ্বাস সামলাতে পারেননি। বিপ্লববাবুও দর্শকদের সেই ভালোবাসা আগের মতোই গ্রহণ করলেন হাসিমুখে।
তবে এই ভ্রমণের আসল কারণ ছিল একান্তই পারিবারিক। প্রতি বছর পুজোর আগে স্ত্রীর জন্য নিজের হাতে জুতো কেনা তাঁর বহু বছরের অভ্যাস। শরীর আগের মতো না থাকলেও, এই ছোট্ট খুশি থেকে নিজেকে বিরত রাখতে চাননি তিনি। এবছরও সেই একই রীতি মেনে প্রিয় মানুষটিকে খুশি করার দায়িত্ব নিজেই নিলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।
কেনাকাটার ফাঁকেই এক সাক্ষাৎকারে তিনি রসিকতার সুরে বলেন, “এখন মনে হয়, রাজাদের মতো তিন-চারটে বিয়ে করলে ভালো হত। তা হলে বার্ধক্যেও সুস্থ থাকা যেত।” তাঁর এই হালকা মেজাজের কথাতেও স্পষ্ট, বয়স যতই হোক মন থেকে এখনও প্রাণবন্ত বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ “আমি যখন অভিনয় করি, তখন তো ওর অস্তিত্বই ছিল না…তখন ওর জন্মই হয়নি!”— হঠাৎ বি’স্ফো’রক ‘বাহামণি’ রণিতা দাস! স্পষ্ট কথায় ঘায়েল করলেন কাকে? কোন অভিনেত্রীর উদ্দেশে ছুঁড়ে দিলেন এমন মন্তব্য?
নিজের অভিনয় জীবনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, তিনি কখনও নিজেকে তারকা ভাবেননি। মারপিটের দৃশ্যেই মানুষ তাঁকে চিনত, আর সেই কারণেই ভিড় জমত। দর্শকদের সেই অগাধ ভালোবাসাই তাঁকে আজকের জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে বলে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি তিনি। পুজোর আগে তাই শরীর ক্লান্ত হলেও মন খুশিতে ভরিয়ে তুললেন তিনি, একান্ত আপন মানুষকে ছোট্ট উপহার দিয়ে।






‘রবীন্দ্রনাথ আর সলিল চৌধুরীর পরেই আমি, ওই দু’জনের পর কবীর সুমন নামটাই তো স্বাভাবিক!’ কবীর সুমনের বিতর্কিত দাবি! ভিডিও ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় সমাজ মাধ্যমে, শিল্পীর বক্তব্যে আহত বাঙালির আবেগ?