স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে স্বতন্ত্র আর কমলিনীর এই চিরসখা’র সম্পর্ককে সবাই ধীরে ধীরে মেনে নিতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগে যদিও কমলিনীর প্রাক্তন স্বামী চন্দ্র ফিরে আসায় তার মা স্বতন্ত্রর সঙ্গে খারাপ মন্তব্য এবং ব্যবহার করেছিল। এমনকি চন্দ্র মারা গেছে এই খবর জানার পর যখন তাদের মাথার উপর দিয়ে ছাদটা পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। তখন যে স্বতন্ত্র তাদের মাথাগোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছিল এবং বৌমা কমলিনীকে নতুন করে বাঁচার সুযোগ করে দিয়েছিল।
তাঁরই চরিত্রের উপর দাগ লাগাতে শুরু করেন চন্দ্রের মা। কমলিনীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পদ আছে, এই নিয়ে নানান পর্যায় বিভিন্ন লোকে কাটাছেঁড়া করার পর যখন ফাঁস হয় চন্দ্রের আসল সত্যি, অনেকেই তাদের ভুল বুঝতে পারে। এদিকে প্লুটোর পরিণতিতে ভেঙে পড়া মিঠিও এখন মানসিকভাবে অনেকটা ঠিক আছে। বুবলাই আর বর্ষাও বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে, অন্যদিকে বাবিল-মিটিলের বিয়ের কথা চলছে— সব মিলিয়ে কমলিনী জীবনে এবার স্থিতি এসেছে। কিন্তু এই শান্তি যেন ঝড়ের আগের নিস্তব্ধতার মতো।
সম্প্রতি ধারাবাহিকের নতুন পর্বে তেমনই এক ঝড়ের আভাস মিলেছে, যা হয়তো কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। এতদিন সবাই ভাবছিলেন কমলিনীর জীবনে কী বা অশান্তি হতে পারে আর, সবকিছুই ঠিক হয়ে গেছে। কিন্তু এবার ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো যেন ধাক্কা দিয়ে গেল সকলকে। প্রোমোতে দেখা যায়, স্বতন্ত্রর গ্রামের বাড়িতে পুরোহিতের মেয়ের বিয়ে চলছে। সবাই খুব খুশি, কমলিনীরাও সেখানে উপস্থিত। কিন্তু মুহূর্তে সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। হঠাৎ পুলিশ এসে পাত্রকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় বেআ’ইনী কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকায়।
বিয়ের মণ্ডপে ছেড়ে যাওয়া মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে পুরোহিত প্লুটোর বাবার কাছে হাত জোড় করে আবেদন করেন যে, এতদিন তাদের গ্রামের সব বিষয়-সম্পত্তি তিনি বুক দিয়ে আগলে রেখেছেন। তাই প্রতিদান স্বরূপ স্বতন্ত্রকে তিনি জামাই হিসেবে চান। মানে মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিতে চান। শুনেই স্বতন্ত্র অসম্ভব বললেও, কমলিনী বলে ওঠে সম্ভব! উল্লেখ্য, এর আগেও যখন অনন্যার বোন ডলের সঙ্গে স্বতন্ত্রর বিয়ের কথা ওঠে, কমলিনীকে ঠকাতে পারবে না বলে সে বিয়ে ভেঙে দেয়।
আরও পড়ুনঃ “আমার মুখে একটা ব্রণর দাগও ওর পছন্দ ছিল না! গতবার ৪৭টা কুর্তি আর ১৩টা শাড়ি দিয়েছিল! যাতে প্রতিদিন আলাদা রঙের সাজি! ফিরোজ আমার সব রং নিয়ে চলে গেছে ! তাই আমি শুধুই সাদা পোশাকে”- সুভদ্রা মুখার্জি
কিন্তু এবার আর সেটা হওয়ার কোনও উপায় নেই। একদিকে সারাজীবন কমলিনীর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি, অন্যদিকে এক বাবার আকুতি যে তাঁর মধ্য বয়স্ক অবিবাহিত মেয়ে লগ্ন’ভ্রষ্টা হয়ে যাবে। এবার ভালোবাসা নাকি দায়িত্ব কোনটাকে বেছে নেবে স্বতন্ত্র? দায়িত্ব বেছে নিলে তাহলে কমলিনীর কী হবে? তাহলে কি স্বতন্ত্র আর কমলিনী কোনদিনও এক হতে পারবে না, সারাজীবন চিরসখা হয়েই থেকে যাবে! কমলিনীর কথা রাখতে স্বতন্ত্রর কি এই বিয়েটা করা উচিত হবে? আপনাদের কী মতামত?