তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের স্ত্রী ও অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজকে নিয়ে নয়া বিতর্ক। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, তিনি ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। আর সেই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি বিধায়ক সুকান্ত মজুমদার প্রশ্ন তোলেন— বিধায়ক-পত্নীর কি প্রয়োজন সরকারি আর্থিক সুবিধার? এই মন্তব্যই উত্তপ্ত করেছে রাজনৈতিক মহল।
তার জবাবে শ্রীময়ীর সাফ বক্তব্য— বিয়ের অনেক আগেই আবেদন করেছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে উত্তর কলকাতায় থাকাকালীন লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদন করেন অভিনেত্রী। তখন তো ভবিষ্যতে কাঞ্চনের সঙ্গে বিয়ের কথা তো কেউ ভাবেননি! তাঁর কথায়, “কোথায় লেখা আছে, বিধায়কের স্ত্রী হলেই সরকারি সুবিধা পাওয়া যাবে না? আমি তো সাধারণ মানুষের মতোই আবেদন করেছি।”
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। বিজেপিকে সরাসরি নিশানা করে শ্রীময়ীর কটাক্ষ, “একটু খোঁজ নিলেই দেখা যাবে, বিজেপির অনেক অভিনেত্রী স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে সেই সুবিধা নেন। তখন তো প্রশ্ন ওঠে না!” তাঁর দাবি, সাধারণ মানুষের মতো সকলেই সরকারি সুযোগসুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখেন— রাজনীতির রঙ দিয়ে বিচার করা ঠিক নয়।
আরও পড়ুনঃ মিলনের পথ কঠিন, কিন্তু মন মেলানোর ঝুঁকি মধুর! শহরে প্রথম ভালোবাসার মিলন উৎসবেই কি এক হবে গৌরব-শোলাঙ্কির মন? ‘মিলন হবে কত দিনে’র দ্বিতীয় প্রোমো প্রকাশ্যে, কবে থেকে শুরু হচ্ছে সম্প্রচার?
অভিনেত্রীর মতে, কিছু মানুষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই এই বিতর্ক তৈরি করছেন। তিনি বলেন, “নিজেদের কাজ করুন। কে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে কত খরচ করল, তা নিয়ে উনি মাথা না ঘামালেই পারতেন।” তাঁর কথায় বোঝা যায়, ব্যক্তিগত জীবনে উঁকি দিয়ে রাজনৈতিক রং দেওয়া তিনি কোনোভাবেই মেনে নেবেন না।
শেষে শ্রীময়ীর দৃঢ় সুর— বিয়ের অনেক আগেই তিনি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আবেদন করেছেন। তাই তাঁর চোখে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া নাগরিকের অধিকার। তিনি শুধু প্রশ্ন করেন— বিধায়কের স্ত্রী হলে কি সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়?






