অচিন্তনীয় এক দুঃসংবাদে স্তব্ধ পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক। কাজের সূত্রে মুম্বইয়ে ছিলেন তিনি, হঠাৎই পেলেন বাবার মৃ’ত্যুর খবর। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি পরিচালক। তিনি জানান, বাবার শরীরে কোনও অসুস্থতার লক্ষণই ছিল না। পুরোপুরি সুস্থ মানুষ ছিলেন তিনি।
শিলাদিত্য জানিয়েছেন, “সকালে মা বাবাকে চা দিতে গিয়েছিলেন। তখনই দেখেন বাবা অস্বাভাবিক আচরণ করছেন, চোখ উল্টে গিয়েছে। মা সঙ্গে সঙ্গে আমায় ফোন করেন, কিন্তু আমি তখন মুম্বইয়ে। তাই বন্ধুদের বলি বাবাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিতে। কিন্তু পৌঁছানোর আগেই সব শেষ।” কথাগুলি বলতে গিয়ে কান্না চেপে রাখতে পারেননি পরিচালক।
পরিচালকের বাবাও অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শিলাদিত্যের একাধিক ছবিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে। তাই বাবার মৃত্যু যেন ব্যক্তিগত শোকের পাশাপাশি এক বড় শিল্পী-সহযোগীকেও হারানোর বেদনা। শিলাদিত্য বলেন, “আমার ‘সূর্য’ ছবিতে বাবা অভিনয় করেছিলেন। তার পরের ছবি ‘চড়ক’-এও তিনি ছিলেন। কিন্তু সেই ছবিটা আর দেখা হল না ওঁর।”
বাবার হঠাৎ চলে যাওয়া বিশ্বাসই করতে পারছেন না পরিচালক। বলেন, “বাবা একেবারে ঠিকঠাক ছিলেন, হাসিখুশি ছিলেন। কীভাবে এমনটা হল বুঝতেই পারছি না। মাকে একা রেখে গিয়েছি, এখন শুধু ওঁর কাছেই ফিরতে চাই।” কথার ফাঁকে চোখ ভিজে উঠল তাঁর।
আরও পড়ুনঃ “স্টারবাকসের কফি না খেলেও জীবন চলে, ক্ষমতা নেই তো রাস্তার ধারে চা খেলেও ক্ষতি কোথায়?” “দেখানদারি বজায় রাখতে ধার করা কেন!”— ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীদের বিলাসিতাকে কটাক্ষ করে অকপট অ্যানমেরি টম! অভিনেত্রীর জীবনদর্শনে মুগ্ধ নেটপাড়া!
এই মুহূর্তে মুম্বই বিমানবন্দরের পথে রয়েছেন শিলাদিত্য। এখনও টিকিট কাটা হয়নি, তৎকালেই টিকিট কাটবেন বলে জানান তিনি। খুব শিগগিরই কলকাতায় ফিরে আসবেন বাবার শেষকৃত্যের জন্য। তাঁর কণ্ঠে শুধু একটাই কথা— “শেষবার বাবাকে দেখতেও পারলাম না, এ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় যন্ত্রণা।”






