স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরসখা’ (Chiroshokha) এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে দর্শকরা একদিকে অবাক, অন্যদিকে ভীষণ দুঃখিত। বুবলাই চরিত্রটা যেন হঠাৎই নতুন এক চূড়ান্ত রূপ পেয়েছে— যে ছেলেটিকে এতদিন ভুল বোঝাবুঝির শিকার মনে হয়েছিল, সে-ই এখন নিজের ভিতরের অন্ধকার দিকটা প্রকাশ করছে। মা কমলিনীর প্রতি যতটুকু সহানুভূতি দেখাচ্ছিল সে, তা যে আসলে এক অভিনয় ছিল। সেটাই বোঝা গেল সম্প্রতি পর্বগুলোতে।
নিজের মায়ের সুখ সহ্য করতে না পারা, তার স্বাধীন সিদ্ধান্তকে অপমান হিসেবে নেওয়া— এসব মিলিয়ে বুবলাই যেন নিজের জীবনকেই ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। মজার বিষয় হলো, বুবলাইয়ের এই পরিবর্তন কোনও হঠাৎ আবেগের ফল নয়। বছরের পর বছর ধরে তার মধ্যে জমে থাকা অবিশ্বাস, হীনমন্যতা আর ভুল বোঝাবুঝিই তাকে এমন জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে। শৈশব থেকেই সে মায়ের প্রতি একরকম সন্দেহ পোষণ করত।
মায়ের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলত, তার সিদ্ধান্তকে অবমূল্যায়ন করত। ধীরে ধীরে সেই ভুল ধারণাই তার মানসিকতার মূলে ঢুকে পড়ে। একসময় মায়ের প্রতি যে শ্রদ্ধা বা ভালোবাসা ছিল, তা পরিণত হয় প্রতিযোগিতায়। ফলাফল, সম্পর্কের জায়গায় তৈরি হয়েছে এক গভীর ফাটল, যা বুবলাই নিজেই আর মেরামত করতে পারে না। সবচেয়ে হতাশার জায়গা হলো, নিজের ভুল বুঝেও বুবলাই সেটাকে সংশোধন না করে নাটক সাজায়। ঘুমের ওষুধ খাওয়ার ভান করে সে শুধু মাকে নয়, স্ত্রী বর্ষাকেও প্রতারিত করে।
বর্ষা সবসময় পাশে থেকেও এই প্রতারণার যোগ্য ছিল না। বুবলাইয়ের এমন আচরণে স্পষ্ট, তার ভেতরে সম্পর্কের প্রতি কোনও দায়বদ্ধতা নেই। পরে চিকিৎসকের মুখে যখন জানা যায়, আসলে ঘুমের ওষুধ নয়, বরং জ্বরের ওষুধ অতিরিক্ত খেয়ে এই অবস্থা হয়েছে— তখন পুরো পরিবারের সামনে খুলে যায় এক বিব্রতকর সত্য। সে মায়ের ফুলশয্যা থামানোর জন্যই এমনটা করেছিল। এদিকে কমলিনী সমাজের বিচার, একাকিত্ব আর বহু বছরের নীরব যন্ত্রণার পর সে যখন নতুন করে বাঁচার সাহস করল, তখন নিজের সন্তানই তার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াল।
আরও পড়ুনঃ ‘পাকা দেখা’ থেকে ‘আংটি বদল’ সবই সারা! বিয়ের পিঁড়িতে কবে বসছেন সাহেব-সুস্মিতা? অবশেষে মুখ খুললেন নায়িকা
একদিকে মাতৃত্বের টান, অন্যদিকে নিজের আত্মসম্মানের প্রশ্ন—এই দুইয়ের মাঝে দিশেহারা কমলিনী। এদিন নতুন প্রোমোতে দেখা গেল, যেন এক নতুন কমলিনীর জন্ম হয়েছে। দেখা যায়, হাসপাতালে তিন লাখ টাকা বিল হয়েছে কিন্তু কেউ মেটাতে পারছে না। তখন স্বতন্ত্র এসে সেই টাকা দিয়ে দেয় আর কমলিনীকে বলে কথা বলে আসতে, তিনি গাড়িতে অপেক্ষা করছেন। উত্তরে কমলিনী বলে, যেখানে স্বামীর জায়গা নেই স্ত্রী থাকে কি করে? বুবলাই এই কথা শুনে রেগে গেলেও, কমলিনী মনে করিয়ে দেয় যে এখন সে বিবাহিত!






