আলো-ঝলমলে এই দুনিয়ায় অনেকেরই ধারণা, ক্যামেরার পেছনে তারকাদের জীবন অন্যরকম। গ্ল্যামার, পার্টি, নেশা—সব মিলিয়ে যেন আলাদা এক জগত। সাধারণ মানুষের চোখে সেই জীবন অনেকটা ‘নিয়মহীন’ বলেই মনে হয়। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে, যখন সেলিব্রিটিদের আচরণ বা অভ্যাস মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়, তখন অনেকেই ধরে নেন, বিনোদন জগত মানেই নেশা ও বিলাসিতার মিশেল।
কিন্তু এই ধারণার বাইরে এক অন্য ছবি উপস্থাপন করেছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। দীর্ঘদিন ধরে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় পরিচালক তিনি। ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’, ‘প্রেমআমার’, ‘পরিণীতা’—প্রতিটি ছবির মাধ্যমেই রাজ প্রমাণ করেছেন, তিনি দর্শকদের হৃদয় বোঝেন। শুধু সিনেমা নয়, রাজ টেলিভিশন দুনিয়াতেও সফল প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
পরিচালক হিসেবেই নয়, স্বামী হিসেবেও রাজের পরিচিতি অনন্য। শুভশ্রী গাঙ্গুলীর জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তিনি পাশে থেকেছেন, বন্ধুর মতো, সহযোদ্ধার মতো। কখনও ক্যামেরার সামনে, কখনও জীবনের মঞ্চে—এই জুটি সব সময় একে অপরের প্রেরণা হয়ে থেকেছেন। নেটিজেনদের মতে, তাঁদের সম্পর্ক আজকের প্রজন্মের কাছে উদাহরণ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাজ হাসিমুখে জানান, “আমি কখনো স্মোকিং করি না, কারণ আজও আমি আমার মাকে ভয় পাই।” তাঁর এই সরল স্বীকারোক্তি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুনঃ “ঠাকুমার আত্মাই আমার শরীরে রয়েছে! গুরুদেবের কাছেও গিয়ে এই উপলব্ধি পেয়েছি”, দ্বিতীয় জন্ম হয়েছে আমার, অপরাজিতার ‘দ্বিতীয় জন্ম’ দাবি ঘিরে নেটপাড়ায় তোলপাড়, ট্রোলিংয়ের মুখে অভিনেত্রী
নেটিজেনরা লিখেছেন, “যে মানুষ মা-কে এতটা সম্মান করতে জানে, সে নিশ্চয়ই ভালো স্বামীও।” কেউ লিখেছেন, “শুভশ্রী সত্যিই ভাগ্যবতী।” রাজের এই বক্তব্যে আবারও প্রমাণিত, গ্ল্যামার দুনিয়ার মানুষ মানেই নেশায় ডুবে থাকা নয়—বরং পারিবারিক মূল্যবোধেই রয়েছে তাঁদের আসল শক্তি।






