‘সোহিনীর মতো আমিও হাঁপিয়ে উঠেছি!’ সোহিনী-শোভন বিতর্কের মাঝেই, ঋতাভরীর বি’স্ফো’রক স্বীকারোক্তিতে নতুন জল্পনা! অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়াতে গিয়ে নিজের সম্পর্কের অন্ধকার দিক আনলেন প্রকাশ্যে! টলিউডে দুই তারকার সম্পর্কেই হঠাৎ কেন তিক্ততার ছায়া?

টলিপাড়ার সুখী দম্পতিদের মধ্যে বর্তমানে একজন শোভন গঙ্গোপাধ্যায় (Shovan Ganguly) আর সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar)। তাই আচমকা রাতে এক বন্ধুকে মেসেজ পাঠিয়ে সোহিনী যখন জানান, “আর পারছি না…আমি তোর বাড়ি যাচ্ছি!” তখন স্বাভাবিকভাবেই অনেকের চোখ কপালে উঠে, অনেকের কাছে বিষয়টা যেন আরও ধাক্কার সমান! কারণ যেকোনও অনুষ্ঠানে হোক বা শুটিং-প্রিমিয়ারে তাঁদের একসঙ্গেই দেখা যায় আর দু’জনের সম্পর্কের উষ্ণতা সবসময়েই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সেই জুটিকে ঘিরেই হঠাৎ এমন দুর্বোধ্য টানাপোড়েন!

আরও অদ্ভুত ব্যাপার হলো, সোহিনীর এই ভাঙনের ইঙ্গিত প্রথম সামনে আসে তাঁর নিজের পোস্টে নয়, অন্যের মাধ্যমে। অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর (Ritabhari Chakraborty) সমাজ মাধ্যমে একটি স্ক্রিনশট ঘুরে বেড়াতে দেখেই ভক্তরা প্রথম সন্দেহে পড়েন। ছবিটিতে সোহিনীর বার্তা, তিনি নাকি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন, কারণ “তার সঙ্গে আবার একই ব্যবহার হয়েছে”। চেনা ভঙ্গিতে সেই লেখা দেখে অনেকেই মুহূর্তে ধরে নেন, হয়তো সত্যিই কোনও বড় ঝড় বয়ে গেছে তাঁদের সংসারে। টলিউডের অন্দরমহলেও গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়, এত কম সময়ে কি তবে ভেঙে পড়ছে তাদের সম্পর্ক?

কিন্তু এখানেই আসে আরও বড় চমক! সেই পোস্টে সোহিনীর সঙ্গে কথপোকথনে ঋতাভরীর উত্তরে দেখা যায়, তিনিও নিজের সম্পর্ক নিয়ে একই রকম চাপের মধ্যেই নাকি আছেন! তাঁর উত্তর পড়ে অনেকেই আরও হতবাক। শুধু সোহিনী নয়, ঋতাভরীর ব্যক্তিগত জীবনেও এবার জমেছে কালো মেঘ। রীতিমতো ক্লান্ত গলায় তিনি জানান, তিনিও নাকি বাড়ি ছাড়ার কথা ভাবছিলেন! তাই দু’জনে একসঙ্গে ‘সমস্যার সমাধান’ খুঁজে বের করতে চান। ফলে দর্শকের মনে সন্দেহ ঘনীভূত হয়, যে দুই অভিনেত্রী সবসময় প্রাণোচ্ছল, তাঁদের জীবনে কি সত্যিই এতটা তিক্ততা কাজ করছে?

নাকি সম্পর্কের চাপ আগে থেকেই জমে ছিল? অন্যদিকে, শোভন আর সোহিনীর দাম্পত্য নিয়ে যে সুন্দর ছবি দেখা যেত, হঠাৎ সবটাই যেন এলোমেলো হয়ে যেতে লাগল। কেউ ভাবতেই পারছিল না যে গত বছরের গোপন বিয়ের পর এত তাড়াতাড়ি এমন অশান্তি দেখা দিতে পারে। যে জায়গাই হোক, এই জুটিকে দেখলে মনে হতো প্রেম যেন এখনও নতুন। কাজের চাপ থেকে ব্যস্ত শিডিউল, সবকিছুর মাঝেও দুইজন কিভাবে একে অপরকে সময় দিতেন তা অনেকেরই ঈর্ষার কারণ ছিল। তাই এই ‘বাড়ি ছাড়া’ প্রসঙ্গটা আরও রহস্য তৈরি করেছিল।

আরও পড়ুনঃ “এত সুন্দরী হয়েও নায়িকা নয়!” “খারাপ দেখতে, দ্বিগুণ বয়সীরা নায়িকা হচ্ছে, আর একে দিদি, বৌদি বা খলনায়িকা বানিয়ে রেখেছে”- কৌশাম্বিকে নিয়ে আক্ষেপ দর্শকের! রূপ-গুণ, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অন্যায় করা হচ্ছে বলে দাবি ভক্তদের!

এতকিছুর পর অবশেষে জানা গেল পুরো বিপত্তির আসল কারণ কিছুই না! এই সবই ছিল আসন্ন একটি ছবির প্রচারের অংশ! সোহিনী আর ঋতাভরীর কথোপকথনের ওই ভাইরাল স্ক্রিনশট, দাম্পত্য ভাঙনের ইঙ্গিত থেকে রাতে বাড়ি ছাড়ার বার্তা ছিল দর্শকের কৌতূহল বাড়াতে সুচিন্তিত বাণিজ্যিক কৌশল! বাস্তবে শোভন এবং সোহিনীর সম্পর্কে কোনও ঝড় নেই আর ঋতাভরীর ‘একই অভিজ্ঞতার’ অভিযোগও নিছক গল্পের চাহিদা অনুযায়ী লেখা সংলাপ। অর্থাৎ, টলিউডে যে ঝড় ওঠার গুঞ্জন ছিল, তার সবটাই শেষ পর্যন্ত স্ক্রিপ্টের পাতায় সীমাবদ্ধ!