পার্শ্ব চরিত্ররা সব সময় অবহেলার শিকার হন! ভিলেনরা গল্পের মূল স্তম্ভ হলেও তারা সেই সম্মান পায় না! অকপট ‘রাজরাজেশ্বরী রানী ভবানী’র ‘ফুল্লরা’ পূর্বাশা

টেলিভিশনের দুনিয়ায় নায়ক-নায়িকার পাশাপাশি পার্শ্ব চরিত্রদের গুরুত্ব কিন্তু কোনও অংশে কম নয়। গল্পে টুইস্ট আনতে, আবেগ তৈরি করতে বা সংঘাত দেখাতে একজন ভিলেন বা নেগেটিভ চরিত্রের উপস্থিতি যেন অপরিহার্য। অথচ পর্দার আড়ালে এইসব চরিত্রে অভিনয় করা শিল্পীরা বহু সময়েই দর্শকের প্রশংসার আলোয় আসেন না। বরং ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে ওঠেন তাঁরা, যা আজও শিল্পীদের মনে কষ্টের জায়গা।

এমনই জনপ্রিয়তা এবং একই সঙ্গে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন অভিনেত্রী পূর্বাশা। ‘ফুল্লরা’ চরিত্রের মাধ্যমে যিনি দর্শকের নজর কেড়েছিলেন, বর্তমানে স্টার জলসার ‘রাজ রাজেশ্বরী রানী ভবানী’ ধারাবাহিকে নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। আর এই চরিত্রই তাকে আবারও আলোচনার মুখে এনে দিয়েছে। চরিত্রটিকে দারুণ দক্ষতায় ফুটিয়ে তোলায় প্রশংসা যেমন মিলছে, তেমনি বাড়ছে তীব্র সমালোচনাও।

পূর্বাশা জানিয়েছেন, পর্দায় তার নেগেটিভ চরিত্র দেখে অনেকেই সমাজমাধ্যমে উল্টোপাল্টা কথা বলছেন। কেউ কেউ এমন পর্যন্ত মন্তব্য করেছেন যে তাঁকে ধারাবাহিক থেকে বাদ দেওয়া উচিত। অভিনেত্রীর কথায়, একজন শিল্পী হিসেবে চরিত্রটিকে সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারাই তার সবচেয়ে বড় সাফল্য, যদিও এই সাফল্যের সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে অকারণ কটাক্ষ।

অভিনেত্রী আরও জানান, কিছুদিন আগে একটি স্টেজ শো-তে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে এক দর্শক সরাসরি বলে বসে—“তোমাকে দেখলেই চড় মারতে ইচ্ছা করে।” প্রথমে অবাক হলেও পূর্বাশা হাসিমুখে উত্তর দেন। পরে সেই দর্শকই স্বীকার করেন, “সামনাসামনি তুমি খুব ভালো, শুধু পর্দায়ই ভয়ংকর।” অর্থাৎ বাস্তবে শান্ত ও নম্র হলেও পর্দায় চরিত্র ফুটিয়ে তোলার দক্ষতাই তাঁকে ভুল বোঝার কারণ।

আরও পড়ুনঃ ‘একটা কাজ শেষের খবর জানলেই অনিশ্চয়তা ঘিরে ধরে, ভয় হয়, কাজ মেলেনা! অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটার আগেই কাজ শেষ হয়ে যাচ্ছে!’ বাংলা ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে অকপট অভিনেত্রী মৈত্রেয়ী মিত্র

সবশেষে পূর্বাশা আক্ষেপ করে বলেন, পার্শ্ব চরিত্ররা সব সময় অবহেলার শিকার হন। নায়ক-নায়িকার সঙ্গে গল্প এগোলেও একজন ভিলেন বা নেগেটিভ চরিত্র ছাড়া কোনও ধারাবাহিক পূর্ণ হয় না। তবু দর্শকের উন্মাদনা থাকে শুধুই লিড চরিত্রকে ঘিরে। তার মতে, প্রতিটি চরিত্রই গল্পকে বাঁচিয়ে রাখে—এবং সেই সম্মান পাওয়া উচিত সবার।