“মাল্টিপ্লেক্স বাংলা ছবির জন্য উপযুক্ত নয়! সাধারণ বাঙালি দর্শক এত টাকা দিয়ে ঝকঝকে মাল্টিপ্লেক্সে যাওয়া পছন্দ করে না।”— হাঁটি হাঁটি পা পা মুক্তির আগেই বি’স্ফো’রক অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী! বাংলা সিনেমার ব্যর্থতার দায় কার উপর চাপালেন অভিনেতা?

চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বাংলা টলিউডের একজন কিংবদন্তি অভিনেতা। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে সক্রিয় রয়েছেন। কখনো দ্রুত দৌড়ে, কখনো হাটি হাটি পা করে, তিনি টলিউডের মঞ্চে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁর অভিনয়শৈলী, সরল চরিত্রপ্রকাশ এবং জনপ্রিয়তা তাকে বাংলা সিনেমার অমর মুখ করেছে।

সম্প্রতি চিরঞ্জিত চক্রবর্তী এবং রুক্মিণী মৈত্র অভিনীত নতুন সিনেমা হাঁটি হাঁটি পা পা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এই সিনেমায় দেখা যাবে সাধারণ মানুষের জীবনের ছোঁয়া এবং বাবা ও মেয়ের গল্প। দর্শকরা দীর্ঘদিনের প্রিয় অভিনেতাকে নতুন ধারার গল্পে দেখতে পাবে, যা ইতিমধ্যেই ফ্যানদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করেছে।

একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বাংলা টলিউডের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বললেন, “ফ্লিম ফেস্টিভ্যালে যে ছবি দেখানো হয়, তা গ্রামের মানুষ বুঝতে পারে না। তাই প্রযোজক এবং পরিচালকরা বুঝতে হবে সাধারণ মানুষ কি দেখতে চায়।” তিনি আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রিতে দর্শকের প্রাধান্য কমে এসেছে এবং বাংলা সিনেমার জন্য এই চাহিদার উপর নজর দেওয়া খুব জরুরি।

আরও পড়ুনঃ ‘এমন সিরিয়ালই তো দেখতে ভাল লাগে’, ‘সব সময় শ্বাশুড়ি বৌমা ঝামেলা হয় না, সন্ধ্যাতারা, অনুরাগের ছোঁয়ার পর কম্পাস সেটার প্রমাণ!’– ঋতজা-কম্পাসের বন্ধুত্বকে ঘিরে উচ্ছ্বাস দর্শকদের! স্টার জলসার ‘কম্পাস’-এর বদলে দেওয়া সম্পর্কের ভাষা এখন আলোচনার কেন্দ্রে!

চিরঞ্জিত চক্রবর্তী মনে করেন, টলিউডের সাফল্যের জন্য সিনেমা হল বাড়ানো অপরিহার্য। তিনি বললেন, “আগে ৭৫০টি সিনেমা হল ছিল। এখন মাত্র ৪০টি। মাল্টিপ্লেক্স বাংলা ছবির জন্য উপযুক্ত নয়। সাধারণ বাঙালি দর্শক এত টাকা দিয়ে ঝকঝকে মাল্টিপ্লেক্সে যাওয়া পছন্দ করে না।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, ছোট সিঙ্গল স্ক্রিন হল তৈরি করা হলে দর্শকরা আনন্দিত হবেন।

অভিনেতা মনে করেন, টলিউডের প্রযোজক ও পরিচালকরা দর্শকের পছন্দ বোঝার চেষ্টা করলে ইন্ডাস্ট্রি আরও সফল হবে। তিনি ছোট হল, মানুষের কাছে সহজ গল্প এবং দর্শক মনোগ্রাহী ছবি তৈরির গুরুত্বকে তুলে ধরেছেন। হাঁটি হাঁটি পা পা সিনেমার মতো ছবি এই দিশায় এগিয়ে চলেছে।