চলতি বছরের মাঝামাঝি শেষ হয়েছে জি বাংলার ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora) ধারাবাহিক। পর্দায় তিন বোনের গল্প যতটা দর্শককে টেনেছিল, তার চেয়েও বেশি আগ্রহ তৈরি করেছিল ছোট বোন স্রোতস্বিনী মুখার্জি এবং স্বার্থক দম্পতির রসায়নের কারণে। স্বপ্নীলা (Swapnila chakraborty) অভিনীত স্রোতস্বিনী চরিত্রটি শুধু পর্দায় নয়, বরং বাইরেও মৈনাকের (Mainak Dhol) সঙ্গে যে অদ্ভুত বন্ধুত্ব ও খোলামেলা সম্পর্ক ছিল, সেটাই দর্শকের মনে আলাদা স্থান তৈরি করেছিল। ধারাবাহিক চলাকালীন এক সাক্ষাৎকারে স্বপ্নীলা বলেছিলেন, মৈনাক তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে চরম দুষ্টুমি করে আর রাগান্বিত করে তোলে।
এদিকে মৈনাক আবার স্বপ্নীলাকে বাচ্চা মেয়ের মতো চঞ্চল ও প্রাণোচ্ছল হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। এই ছোটখাটো খুনসুটি এবং আন্তরিক প্রশংসা দু’জনের বন্ধুত্বকে যেন আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছিল। তাদের কেমিস্ট্রি শুধুই কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। স্বপ্নীলা ও মৈনাকের বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক বোঝাপড়া বাস্তব জীবনেও তাদের সম্পর্ককে একরকম উজ্জ্বল করেছে। ধারাবাহিকটি শেষ হয়েছে বেশ কয়েক মাস আগেই।
আর স্রোত-স্বার্থক জুটিকে ভুলতে পারেননি কেউ। আজও সবাই দুই অভিনেতা-অভিনেত্রীকেই অনুরোধ করেন আবার কোনও কাজে জুটি বাঁধতে। মূলত দর্শকদের অনুরোধেই আবার একসঙ্গে জুটি বেঁধেছেন তাঁরা, তবে কোনও ধারাবাহিক বা ছবিতে নয়। এবার সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে একটি মিউজিক ভিডিওতে একসঙ্গে দেখা যাবে তাদের। আগামী ২৮ তারিখ ইউটিউবে আসছে ‘সিম্ফনি’ বলে তাদের নতুন গানে।
কলকাতা শহর জুড়ে রোমান্স করতে দেখা যাবে তাঁদের। এদিন সেই উপলক্ষেই একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হতেই দেখা গেল সেই চেনা ‘স্রোত-স্বার্থক’ জুটির মজার ঝগড়া আর খুনসুটি। কালো কুর্তিতে স্বপ্নীলা এবং কালো জামায় মৈনাক একেবারই যেন সদ্য প্রেমে পড়া প্রেমিক যুগলের মতো লাগছিল। এদিন স্বপ্নীলা প্রথমেই অভিযোগ করেন, লেকের পাশে তাকে ঘণ্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করিয়ে তারপর এসেছেন মৈনাক।
তবে, প্রেমিক হিসেবে নাকি অনেকটা পরিণত হয়েছে সে, এমনটাই দাবি স্বপ্নীলার। প্রসঙ্গত, বর্তমানে মৈনাককে দেখা যাচ্ছে তাঁর নতুন ধারাবাহিক ‘কনে দেখা আলো’তে, গ্রামের সহজ সরল ছেলে ‘সুদেব’ চরিত্রে। স্বপ্নীলার মতে, সুদেব প্রেম করতে জানে, বাস্তবের মৈনাক যেটা বোঝে না আর পর্দার স্বার্থক যেটা বুঝতে চাইতো না। খানিক হিংসা নিয়েই স্বপ্নীলা বলেন, ‘আমাদের মতো বন্ডিং খুব কমই হয়। যাঁর সাথেই অভিনয় করুক, মৈনাক-স্বপ্নীলা কেমিস্ট্রি সেরা।’
আরও পড়ুনঃ “সেই ‘বধূবরণ’ থেকে ‘মিলন হবে কত দিনে’ ব্যবসায়ী পরিবারের বড় ছেলে হয়েই আছে গৌরব!” “ওর অভিনয় মুগ্ধ করে তবে চরিত্রে বৈচিত্র প্রয়োজন!”– অভিনয় দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও বারবার একই রূপে ধরা দেন গৌরব চট্টোপাধ্যায়! অসন্তুষ্ট ভক্তরা
এরপরেই জানতে চাওয়া হয়, এতদিন বাদে আবারও একসঙ্গে কাজ। আগের মতো এবারও কি মৈনাক রোমান্টিক দৃশ্যতে সুড়সুড়ি বা ফুঁ দিয়েছে কানে? স্বপ্নীলা বলেন, ‘পরিণত প্রেমিক হয়ে উঠেছে তো, রোমান্স করতে গিয়ে আর সুড়সুড়ি দেয় না!’ এই ছোট্ট দুষ্টু-মিষ্টি কথপোকথন যেমন তাঁদের জুটিতে দেখার আগ্রহ বাড়িয়েছে নতুন করে, তেমনই আবার পর্দায় দেখতে চাওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করছেন অনেকেই।






