টলিউডে সাফল্যের পাল্লা যেন প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়িয়ে নিচ্ছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। অভিনয়ের পাশাপাশি বিজ্ঞাপন জগতেও তাঁর অবাধ দাপট এ বছর নতুন রেকর্ড গড়েছে। একসঙ্গে ১৫টি বড় ব্র্যান্ড তাঁর হাতে তুলে দিয়েছে তাদের প্রচারের দায়িত্ব। বাংলা সিনেমার অতীত হিসেব বলছে, কোনও নায়িকার পক্ষে এক বছরে এতগুলি প্রতিষ্ঠানের মুখ হওয়া বিরল ঘটনা। তাই শুভশ্রীর এই সাফল্য এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
বিষয়টি নিয়ে শুভশ্রী নিজেই জানিয়েছেন, বিজ্ঞাপনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া মানেই শিল্পী এবং প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক লাভ। তাঁর কথায়, এতে শুধু তাঁর প্রচার বাড়ে না, বাংলা বিনোদন দুনিয়ার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের প্রতিও আগ্রহ বাড়ছে। নানা চরিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের কাজ তাঁর কাছে সমান গুরুত্ব রাখে এবং আগামী দিনেও এ ধরনের প্রকল্পে কাজ করতে চান তিনি। টলিউড মহল মনে করছে, ২০২৫ সাল তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম উজ্জ্বল বছর হয়ে উঠছে।
এদিকে অন্য নায়িকাদের তালিকায় শুভশ্রীর ধারের কাছেও কেউ নেই। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রুক্মিণী মৈত্র এ বছর তিনটি ব্র্যান্ডের মুখ হয়েছেন। তৃতীয় স্থানে আছেন মিমি চক্রবর্তী, যাঁর তালিকাতেও তিনটি সংস্থার নাম ছিল। তবে সাম্প্রতিক একটি প্রসাধনী ব্র্যান্ড তাঁর হাতছাড়া হয়েছে এবং সেই সুযোগটি পেয়েছেন মধুমিতা সরকার। আরও রয়েছেন কয়েল, ঋতাভরী, নুসরত—সবাই একটি করে ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন।
নায়কদের মধ্যে জনপ্রিয় মুখ আবীর চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরেই একটি ভোজ্য তেলের ব্র্যান্ডে যুক্ত। সম্প্রতি অঙ্কুশ হাজরাকেও তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছে একই বিজ্ঞাপনে। তবে বাংলার বিজ্ঞাপনী দুনিয়ার রাজা নিঃসন্দেহে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক একাই ৪৮টি ব্র্যান্ডের মুখ হয়ে আছেন, যা দেশের বহু তারকার পক্ষে অস্বাভাবিক উচ্চ সংখ্যা।
আরও পড়ুনঃ ‘যারা আমাকে কষ্ট দিয়েছে, শেষ পর্যন্ত নিজেদেরই জীবন হারিয়েছে…খারাপ করে কর্মফল ঠিকই পেয়েছে!’ আসন্ন সিরিজ ‘কর্মা কোর্মা’-র ভেতর-বাহির নিয়ে অকপট ঋতাভরী!
পরিচালকদের মতে, টলিউডে বিজ্ঞাপন নির্মাণে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কিছুটা ভাটা দেখা গেলেও বাংলাদেশে এই ক্ষেত্রটি অনেক বেশি সক্রিয়। সেখানে পরিচালক ও অভিনেতাদের বড় অংশ নিয়মিত বিজ্ঞাপনী ছবিতে কাজ করেন, যা ঢালিউডকে আর্থিকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী করে তুলেছে। তবুও শুভশ্রীর মতো তারকার উপস্থিতি বাংলা বিজ্ঞাপনী দুনিয়াকে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে।






