“এক ইঞ্চি ক্লিভে’জে যদি কারোর সমস্যা হয়, সেটা আমার দায় নয়!” মমতা শঙ্করের ‘লজ্জা বিক্রি’ মন্তব্য ঘিরে সাম্প্রতিক ছবিতে কটাক্ষ, ক্ষুব্ধ শ্রীনন্দা শঙ্কর! পিসির বিতর্কিত মত টেনে অপমান করাতেই, নেটিজেনকে যোগ্য পাঠ দিলেন ভাইজি!

বছরের পর বছর ধরে মমতা শঙ্করের (Mamata Shankar) বেশ কিছু মন্তব্য নিয়ে সমাজমাধ্যমে তোলপাড় হয়েছে, বিশেষ করে নারীদের পোশাক ও আচরণ নিয়ে তাঁর কঠোর মতামতগুলোকে কেন্দ্র করে। গত বছর তিনি বলেছিলেন, আজকালকার মেয়েরা নাকি নিজেরাই নিজের লজ্জা বিক্রি করে দিচ্ছে! এখন শাড়ির আঁচল যেভাবে নেয়, তাতে শরীরের বেশিরভাগ অংশ নাকি ইচ্ছে করেই উন্মুক্ত থাকে। ঠিক যেন “লাইটপোষ্টের তলায় দাঁড়ানো মহিলারা করেন”। তাঁর সেই মন্তব্যের পর চতুর্দিকে চড়েছিল সমালোচনার ঝড়। পরে আবার তিনি জানান, তিনি নাকি স্বামীকে দিতে পারেন ঠিকই, কিন্তু বাবা বা ছেলেকে কখনও স্যানিটারি প্যাড আনতে বলতে পারেন না!

এসব মিলিয়ে তাঁকে অনেকে প্রাচীনপন্থী ভেবে কটাক্ষ করেছেন, আর এই সব পুরোনো বিতর্কের মধ্যেই এবার নতুন করে আলোচনায় উঠে এলেন তাঁর ভাইঝি ‘শ্রীনন্দা শঙ্কর’ (Sreenanda Shankar)! শ্রীনন্দার একটি সমাজ মাধ্যম পোস্ট কিছু নেটিজেনের কটাক্ষ যেন ফের সামনে এনে দিয়েছে পরিবারিক দ্বন্দ্বের চিত্রটা! সম্প্রতি অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী শ্রীনন্দা নিজের একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন, যেখানে তাঁকে দেখা যায় স্টাইলিশ কালো ওয়ান পিসে ও আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিমায়। সেখানে তাঁর বক্ষ খাঁজ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, তিনি শিগগিরই ৪৫ বছরে পা দেবেন। জীবনের নানা ওঠাপড়ার পরে আজও নিজেকে উদযাপন করেন।

কিন্তু ছবির প্রশংসার বদলে একটি মন্তব্য আসে, “পিসি মানে মমতা পিসি রেগে যাবে কিন্তু!” আর এখানেই শুরু নতুন ঝড়। শ্রীনন্দা বহুবার স্পষ্ট করেছেন যে পিসির বিতর্কিত মতাদর্শ তিনি সমর্থন করেন না, তাই আবারও এমন মন্তব্য দেখে তিনি ক্ষুব্ধ হন। সেই মন্তব্যের উত্তরে শ্রীনন্দার প্রতিক্রিয়া ছিল আরও তীক্ষ্ণ এবং সরাসরি। তিনি লেখেন, “আপনারা একটা কথা আমাকে বারবার কেন বলেন? সব পরিবারের কি সব মানুষ একই রকম হয়? আপনারা কি আমাকে তার সঙ্গে কখনও দেখেছেন?

যখন দেখেননি, তখন দয়া করে সেই তুলনা বা মন্তব্যগুলোও করবেন না। তিনি যদি আপনাদের কিছু বলে থাকেন, সেটা আমাকে কেন বলা হচ্ছে? আমি কি কোনোভাবে আপনাদের ক্ষতি করেছি? আমাকে কি কখনও এমন কিছু করতে দেখেছেন, যা মহিলাদের প্রতি ক্ষতিকর হতে পারে? যদি না দেখে থাকেন, তাহলে আমি ঠিক কীসের জন্য দায়ী? একটু ভেবে দেখুন।” তাঁর কথায় স্পষ্ট ছিল, ব্যক্তিগত পছন্দ ও মতাদর্শের দায় তিনি নেবেন না এবং পরিবারকে জড়িয়ে আক্রমণও আর মেনে নেবেন না।

পরবর্তীতে তিনি সেই কথোপকথনের স্ক্রিনশটও ভাগ করেন নিজের পেজে। সঙ্গে যোগ করেন আরও একটি দৃঢ় বার্তা, “যেদিন আমি পুরোপুরি উপেক্ষা করব, সেদিন আর কখনোই কোনও কনটেন্ট বানাব না। তাই আমাকে কখনো উপেক্ষা করতে বলবেন না। আপনি যদি চান যে আমি আপনার জন্য কনটেন্ট বানাই, তাহলে আমাকেও সম্মান করতে হবে! (এটা সবার জন্য নয়) এক ইঞ্চি ক্লিভেজ দেখলেই যদি আপনাদের অদ্ভুত লাগে, সেটা আমার দায় নয়! আমার কনটেন্ট দেখুন, কিন্তু একজন ভদ্র দর্শকের মতো আচরণ করুন।

আরও পড়ুনঃ রায়দিঘি থেকে পথচলা শুরু করে একসময় স্টেশনেও রাত কাটিয়েছেন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র দীপা! কলকাতায় টিকে থাকার সংগ্রাম, চোখে স্বপ্ন আর মনে জেদ নিয়ে এগোতে এগোতে মাত্র ১৯ বছরেই অবিশ্বাস্য সাফল্য ছুঁয়েছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা ঘোষ! কেমন ছিল তার জীবনের সংগ্রাম?

আর না চাইলে না-ও দেখতে পারেন। আমার পরিবারকে জড়িয়ে অপমান করা সম্পূর্ণ বোকামি। আমি যা খুশি পরব, আমার নিজের পেজে আমি চাইলে “F*” বা “S**” যে শব্দ চাই ব্যবহার করব। আপনি কী দেখবেন আর কীভাবে দেখবেন, সেটা আপনার নিজের দায়িত্ব!” এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই আলোচনার আগুন আরও জ্বলে ওঠে। নেটিজেনদের একাংশ শ্রীনন্দার আত্মবিশ্বাসী অবস্থানকে সাধুবাদ জানালেও, আরেক অংশ এখনও মমতা শঙ্করের পুরনো বিতর্কের সঙ্গে তাঁকে জুড়ে দিচ্ছেন। কিন্তু শ্রীনন্দা স্পষ্ট করে দিলেন, তিনি নিজের পরিচয় স্বতন্ত্রভাবেই তৈরি করেছেন আর পরিবারের অন্য সদস্যের মন্তব্যের দায় তিনি নেবেন না।