টলিপাড়ায় যে কোনও সম্পর্ক নিয়ে আলাপ-আলোচনা হওয়াটা নতুন নয়। তবে, সম্প্রতি নতুন করে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন ‘প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়’ (Prantik Banerjee) এবং ‘অঙ্কিতা চক্রবর্তী’ (Ankita Chakraborty)। কয়েক বছর আগেও যাঁদের বিয়ের ছবি সমাজ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল, আজ তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের দূরত্ব নিয়েই চলছে গুঞ্জন! দু’জনেই বর্তমানে কাজের সূত্রে নিজের নিজের জীবনে ব্যস্ত, অঙ্কিতা যেখানে বাংলা ও হিন্দি দুই মাধ্যমেই নিয়মিত মুখ আর প্রান্তিকও অভিনয়ের পাশাপাশি এখন পরিচালনার কাজ নিয়েও ভাবছেন।
সবাই যখন ধরে নিয়েছিল দুই তারকার দাম্পত্য বেশ স্বাভাবিক ছন্দেই চলছে, তখনই জানা গেল তাঁদের সম্পর্কে নীরব টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে! শহর আলাদা হওয়াটা যে সমস্যা তৈরি করেছে,সেটাই ধরা পড়েছে তাঁদের কথায়। প্রান্তিকের কথায়, কখনও কখনও সম্পর্ককে ধরে রাখতে গিয়ে দু’জনেরই মনেই ক্লান্তি আসে আর তখন বন্ধুত্ব রেখে দূরত্ব তৈরি করাটাই ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবু বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ভক্তদের মধ্যে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে তৃতীয় ব্যক্তি নিয়ে।
তবে নতুন প্রেমের সম্ভাবনা নিয়ে যে গুঞ্জন উঠেছে, তা সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছেন প্রান্তিক নিজেই। এদিন সাক্ষাৎকারে অকপটে অভিনেতা নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে বলেন, “আমাদের দুজনের পথ সত্যিই আলাদা হচ্ছে। এটা খুবই সাবলীল জায়গা থেকেই আমরা ভেবেছি। অন্তত আমি তো সেটাই বলব। কারন, আমরা ১০-১২ বছর ধরে বন্ধু ছিলাম। তারপর আমাদের সম্পর্কটা একটা নতুন মোড় নেয়। বর্তমানে আমাদের কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে, ব্যক্তিগত দূরত্বটা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
দুজনেই যেহেতু পেশায় অভিনেতা এবং অভিনেত্রী, কলকাতার বাইরেও থাকতে হয় বিভিন্ন সময়। এই যে ভৌগলিক দূরত্ব, এটাই সমস্যা। তার মানে এই নয় যে, আমাদের পরবর্তীতে আর যোগাযোগ থাকবে না বা বন্ধুত্ব রাখব না। আমাদের মধ্যে বিরাট কোনও আঘাতপূর্ণ ঘটনা ঘটেনি বা মানসিক এবং শারীরিক ক্ষতিও হয়নি দু’জনের কারোর। পথ চলার মধ্যে পথটা আলাদা হয়েছে, এছাড়া আর কিছু নয়। কোন কিছুকেই তেমনভাবে দায়ী করা যাবে না। ইচ্ছাকৃতভাবে তো দূরত্ব তৈরি হয়নি, কাজের জন্যই যেতে হচ্ছে বাইরে।
আরও পড়ুনঃ বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন হবু স্ত্রী! রেগে কাঁই হয় বিয়ে ভাঙলেন অভিনেতা? টলিপাড়ায় ফের শোরগোল! আন্দাজ করতে পারছেন কোন জুটি?
আর আমার মনে হয় না যে, আমাদের মধ্যে কোনও তৃতীয় ব্যক্তি এসেছে। আমাদের মধ্যে কোনদিনওই তৃতীয় ব্যক্তি বা তার প্রভাব ছিল না! আমাদের মানসিকভাবে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে আর কি। সত্যি কথা বলতে, আলাদা থাকছি এটাই বলব।” তিনি আরও জানিয়েছেন যে, গত কয়েক বছরে তাঁর বেশিরভাগ সময় মায়ের চিকিৎসা এবং মানসিক চাপে কেটে গেছে। ফলে অন্য কোনও সম্পর্কে জড়ানোর সুযোগ বা ইচ্ছা কোনোটাই নেই। যদিও অঙ্কিতার তরফে তেমন কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলেনি, বাকিটা সময়ই বলবে।






