ধর্মেন্দ্রের মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর বিপুল সাম্রাজ্য নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছিল। এত কোটি টাকার সম্পত্তি তিনি রেখে গেলেন, তবু কি ছেলেমেয়েরা কোনও অংশ পেলেন না? এমন প্রশ্নই ঘুরছিল চারদিকে। কিন্তু সত্যি ছবিটা ছিল অনেকটাই আলাদা। পরিবার নয়, বরং নিজের শিকড়ের প্রতি টান থেকেই তিনি জীবদ্দশায় একটি বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
জানা যায়, ধর্মেন্দ্র তাঁর ছেলে সানি ও ববি বা মেয়েদের কোনওভাবেই বঞ্চিত করেননি। বরং নিজের পৈতৃক গ্রামের কিছু আত্মীয় যাতে ভবিষ্যতে আর্থিক সমস্যায় না পড়েন, সেই ভাবনা থেকেই তিনি তাঁদের হাতে তুলে দেন জমির একটি বড় অংশ। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বুঝেছিলেন যে শহরের ব্যস্ত জীবনে বসে সেই জমির দেখভাল করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তাই যাঁরা গ্রামের মাটির সঙ্গে প্রতিদিন যুক্ত, তাঁদের ওপরই তিনি দায়িত্ব অর্পণ করেন।
পঞ্জাবের লুধিয়ানার নাসরালি গ্রামে তাঁর পৈতৃক জমি বহু প্রজন্মের স্মৃতি বহন করে। কাজের চাপ বাড়ার পর ধর্মেন্দ্র সেই জায়গায় কম যেতেন ঠিকই, কিন্তু মনের টান কোনওদিন কমেনি। সুযোগ পেলে গ্রামের পথে দাঁড়িয়ে হাতভরে মাটি তুলে কপালে ছোঁয়া ছিল তাঁর চিরন্তন অভ্যাস। জমিটি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করুক, আর একই সঙ্গে আত্মীয়েরা নিশ্চিন্তে জীবন কাটাতে পারুক—এই দুই ভাবনা থেকে তিনি জমি লিখে দেন কাকার নাতিপুতিদের নামে।
অভিনেতার ভাগ্নে বুটা সিংহ জানিয়েছেন, কোনও পারিবারিক বিবাদ বা চাপ নয়, নিজের ইচ্ছাতেই ধর্মেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন অনেক আগেই। গ্রামের মাটির প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা সত্যিই ছিল চোখে পড়ার মতো। আজও গ্রামবাসীরা বলেন, এত বড় তারকা হয়েও ধর্মেন্দ্র কখনও নিজের শিকড় ভুলে যাননি।
আরও পড়ুনঃ “তোমাকে আমি বিদায় দেবো না বরং তুমি আমার সঙ্গেই রয়ে যাবে…” সমাজ মাধ্যমে অহনার আবেগঘন বার্তা! ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ শেষ হতে না হতেই, কাকে বিদায় জানালেন অভিনেত্রী?
ধর্মেন্দ্রের দান করা জমির বর্তমান মূল্য আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকার মতো। তাঁর মৃত্যুর পর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। কিন্তু নাসরালির মানুষের কাছে এটা কোনও বিস্ময় নয়—কারণ তাঁরা জানতেন, ধর্মেন্দ্র শুধু ছবির নায়ক নন, বাস্তব জীবনেও ছিলেন হৃদয়বান, উদার এবং শেকড়ের প্রতি অটুট একজন মানুষ।






