“ভগবান একটা ‘শক্তি’… তোমার যদি ভাগ্য থাকে, কম প্রতিভা নিয়েও তুমি চূড়ায় পৌঁছবে”— সরস্বতীকে ‘কামের দেবী’ বলে ধর্মীয় বিতর্কে জড়ানো অম্বরীশ ভট্টাচার্য কি এবার বিশ্বাস আর ভাগ্যের নতুন ব্যাখ্যার দিকেই ইঙ্গিত দিলেন?

বিনোদন জগতে তারকাদের ব্যক্তিগত মতামত বা বিশ্বাস প্রায়ই সাধারণ মানুষের কৌতূহল বাড়ায়। পর্দার বাইরের এই কথাবার্তাই কখনও প্রশংসা কুড়োয়, কখনও আবার জন্ম দেয় তীব্র বিতর্কের। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বলা একটি বাক্য মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে, তৈরি করে আলোচনা, সমালোচনা ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া। ফলে বিনোদন দুনিয়ার তারকাদের বক্তব্য এখন আর শুধুই ব্যক্তিগত থাকে না, তা জনমানসের অংশ হয়ে ওঠে।

এই প্রেক্ষিতেই উঠে আসে অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্যের নাম। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মনোরঞ্জন করে আসছেন। থিয়েটার থেকে শুরু করে পর্দা—প্রতিটি মাধ্যমেই নিজস্ব অভিনয় দক্ষতায় আলাদা ছাপ রেখেছেন তিনি। কখনও সংবেদনশীল, কখনও তীক্ষ্ণ বাস্তববাদী চরিত্রে তাঁর উপস্থিতি দর্শকদের কাছে পরিচিত। অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর স্পষ্টভাষী মনোভাবও বহুবার আলোচনায় এসেছে।

চলতি বছরের সরস্বতী পুজোর সময় তিনি নিজেকে জড়িয়ে ফেলে বড় বিতর্কে। দেবী সরস্বতীকে নিয়ে তাঁর একটি মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় প্রবল সমালোচনা। বিদ্যার দেবীকে ‘কামের দেবী’ বলে উল্লেখ করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এই মন্তব্যকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বলে দাবি করেন এক আইনজীবী ও রাজনৈতিক নেতা, যিনি আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেন। বিষয়টি ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতেও উত্তাপ ছড়ায়।

এই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই সম্প্রতি আবারও আলোচনায় অম্বরীশ ভট্টাচার্য। এবার তাঁর বক্তব্য ঈশ্বর ও ভাগ্যকে ঘিরে। তিনি বলেন, “ভগবান একটা শক্তি। তোমার যদি ভাগ্য থাকে, কম প্রতিভা নিয়েও তুমি চূড়ায় পৌঁছবে। এই ভাগ্যটাও কিন্তু ভগবান।” তাঁর এই মন্তব্যে ধর্মীয় বিশ্বাস, ভাগ্য ও পরিশ্রমের সম্পর্ক নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

আরও পড়ুনঃ টলিপাড়ায় প্রথম সম’কামী বিয়ে! গোপনে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন ছোটপর্দার দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী, টলিপাড়ায় নতুন ইতিহাস

একদিকে যেখানে তাঁর আগের মন্তব্য ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে বিতর্ক তৈরি করেছিল, অন্যদিকে সাম্প্রতিক বক্তব্যে ঈশ্বরকে ‘শক্তি’ হিসেবে ব্যাখ্যা করে তিনি যেন ভিন্ন সুরে কথা বললেন। এই পরিবর্তিত অবস্থানই এখন দর্শক ও অনুগামীদের ভাবাচ্ছে—অম্বরীশ ভট্টাচার্য কি সত্যিই বিশ্বাসের জায়গায় নতুন ব্যাখ্যা খুঁজছেন, নাকি বিতর্কই তাঁর বক্তব্যকে বারবার আলোচনার কেন্দ্রে এনে দিচ্ছে?