নোবেল নামটা যে এতটা বিতর্কিত হয়ে উঠবে তা বোধহয় কেউ কখনই বুঝতে পারেননি। বা ভাবেননি। তবে এপার বাংলায় জনপ্রিয়তা পাওয়া বাংলাদেশি গায়ক মইনুল আহসান নোবেল আসলে মূর্তিমান একটি বিপদ এবং বিতর্কের আখড়া।
ফের একবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি। পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনের জন্য সদাই বিতর্কের কেন্দ্রে থাকেন নোবেল। কখনও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, কখনও প্রাক্তনকে মারধর,কখনও আবার তিনি নিজের স্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য বা কখনও ভারত সম্পর্কে কটু কথা বিতর্ক কখনই তাঁর পিছু ছাড়েনি।
আর এবার ফের একবার বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের সংবাদের শিরোনাম দখল করেছেন তিনি। আসলে এই গায়ক বর্তমানে নিজের গানের থেকে তিনি বেশি জনপ্রিয় নিজের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য। ভারতের মাটিতে বেজায় সাফল্য পেলেও তাঁর অহঙ্কার, ঔদ্ধত্যমূলক আচরণ, বেহিসাবি জীবন যাপন এক লহমায় শেষ করে দিয়েছে সবকিছু।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেই বিশেষ অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় বাংলাদেশের এই বিতর্কিত এবং জনপ্রিয় গায়ককে। রাত ৯টা নাগাদ মঞ্চে গান গাইতে ওঠার কথা ছিল নোবেলের। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে কার্যত নে’শা’য় চুর হয়ে নোবেল মঞ্চে ওঠেন রাত ১১টা ২০ মিনিটে। এরপরই মাইক্রোফোন হাতে শুরু হয় মা’ত’লা’মি।মাইক্রোফোনের স্ট্যান্ডও ভাঙচুর করেন নোবেল।
স্টেজে দাঁড়িয়ে অসংলগ্ন কথাবার্তা, দর্শকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, ম’দ-মা’দকের নে’শায় চূর নোবেলকে দেখে একটা সময় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সেখানে জমায়েত করা দর্শক-শ্রোতারা। সহ্যের সীমা পেরোতেই তাঁরা নোবেলকে জুতো ও জলের বোতল ছুঁড়ে ছুঁড়ে মা’র’তে শুরু করেন। সেই সময় চেঁচামেচি করতেও দেখা যায় নোবেলকে। আয়োজকেরা তাঁকে কোনমতে টেনে হিঁচড়ে ভেতরে নিয়ে যান।
আর এবার নিজের সেই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইলেন নোবেল। কী বললেন তিনি? বাংলাদেশের স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমে গায়ক জানিয়েছেন, আসলে তিনি ফিলিংসের ভেতরে যাওয়ার জন্য একটু ম’দ পান করেন। ম’দ খাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে নোবেল বলেছেন, ‘স্টেজে ওঠার আগে হালকা একটু রিলাক্সেশনের জন্য এবং একটু ফিলিংসের ভেতরে ঢোকার জন্য ম’দ পান করেছিলেন তিনি। নোবেল বলেছেন, ‘এই ঘটনায় আমি অত্যন্ত অনুতপ্ত এবং দুঃখিত। আমি হাঁটু গেড়ে হাতজোড় করে সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। এই রকম ঘটনা আর ঘটবে না।’
ভিডিও সৌজন্যেঃ আজকের পত্রিকা