Nobel: স্টেজে মা’ত’লা’মি করলেন গায়ক নোবেল! ক্ষুব্ধ দর্শক! জু’তো’পে’টা করলেন, জলের বোতল ছুঁড়লেন

ভারতের মাটিতে তীব্র জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। বলা যায় রাতারাতি তারকা বনে গিয়েছিলেন তিনি। সৃজিত মুখার্জির ছবিতে গানের সুযোগ সেইসঙ্গে এপার বাংলার বিরাট ফ্যানবেস কী নেই তাঁর! কিন্তু অহঙ্কার, ঔদ্ধত্যমূলক আচরণ, বেহিসাবি জীবন যাপন এক লহমায় শেষ করে দিয়েছে সবকিছু।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা বিতর্কিত গায়কের নাম অবশ্য‌ই মইনুল আহসান নোবেল।পশ্চিমবঙ্গের রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’র মঞ্চে যাঁর গান মন ছুঁয়ে গিয়েছিল শ্রোতাদের। দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন বাংলাদেশের গায়ক মইনুল আহসান নোবেল। বলা যায় খ্যাতির সিঁড়ি বেয়ে উঠে সফলতার মুখ দেখেন এই গায়ক। তবে বর্তমানে বিতর্কিত, বেফাঁস মন্তব্য, মা’দ’কে’র নেশা, বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময় শিরোনাম দখল করেছেন এই গায়ক।

উল্লেখ্য, বর্তমানে নিজের গানের থেকে তিনি বেশি জনপ্রিয় নিজের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য। কখনও তিনি জাতীয় গানের অবমাননা করেছেন, তো কখনও আবার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অসম্মান করেছেন, কখনও আবার তিনি নিজের স্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য বা কখনও ভারত সম্পর্কে কটু কথা তাঁকে ভক্ত-অনুরাগীদের চোখে নীচে নামিয়েছে।

আর এবার ফের একবার বিতর্কে জড়ালেন তিনি। সম্প্রতি ফের নিজের একটি কাজের জন্য তীব্রভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর সেই অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল নোবেলকে। জানা গেছে, রাত ৯টার দিকে মঞ্চে গান গাইতে ওঠার কথা ছিল নোবেলের। কিন্তু সেই সময় অতিক্রম করে নে’শা’য় চুর হয়ে মঞ্চে ওঠেন তিনি রাত ১১টা ২০ মিনিটে। এরপর শুরু হয় মা’ত’লা’মি। মাইক্রোফোনের স্ট্যান্ড ভাঙচুর করতে দেখা গেছে‌ নোবেলকে।

গায়কের অসংলগ্ন, জঘন্য আচরণ দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সেখানে জমায়েত হ‌ওয়া দর্শক-শ্রোতারা। সহ্যের সীমা পেরিয়ে গেলে, একটা সময় তাঁরা নোবেলকে জুতো ও জলের বোতল ছুঁড়ে মা’র’তে থাকেন নোবেলকে। তবুও সমানে অশালীন কথা বলতে থাকেন মা’দ’কে’র নেশায় মত্ত নোবেল। উল্লেখ্য, তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যায় আয়োজকরা। আর এই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।