বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা হিরো আলম। আসল নাম আশরাফুল আলম হলেও বেশিরভাগ মানুষ তা জানেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব তিনি। তাঁর ভক্তের বেশ বড়ো সংখ্যা যেমন রয়েছে তেমনই তাঁর শত্রুদের সংখ্যাও কম নয়। হিরো আলমের লুক এবং বিনোদনের কারণেই তিনি বরাবর সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চিত হয়ে থাকেন। আর ঠিক একই কারণে তাঁকে সমালোচিতও হতে হয়।
সম্প্রতি হিরো আলম লাইভে এসে কেঁদে ফেলেন। তাঁর অভিযোগ তিনি নিজের দেশে যথেষ্ট কদর পান না অভিনেতা হিসেবে। চেহারা নিয়ে নাকি কটাক্ষ করা হয়। তাঁর বক্তব্য বাংলাদেশ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কিছু ক্ষমতালোভী মানুষদের প্রভাবে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চান না। তাই এবার তিনি আর বাংলাদেশ কাজ করতে চান না। বরঞ্চ এবার তার মন ঝুঁকেছে টলিউডের দিকে। একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে তাঁর লেখা একটি আত্মজীবনী। ‘দৃষ্টিভঙ্গি বদলান আমরা সমাজকে বদলে দেবো’ এমনই নাম সেই বইয়ের।
এই বইয়ে নাকি এমন কিছু বিশিষ্ট কথা রয়েছে যা থেকে রীতিমতো উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পাওয়া যায় জীবন সম্পর্কে। পুরোপুরি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ নয় এটি। বরং বইয়ের অনেকাংশই জুড়ে রয়েছে উদ্দীপনামূলক বক্তব্য। তাঁর বক্তব্য, তাঁর জীবনটা কতটুকু কষ্টের মধ্যে পার হয়েছে এবং কতটুকু পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি হিরো আলম হয়েছেন সেটা শুধু তিনি জানেন। তাঁর পর্দার পেছনের ঘটনাগুলো জানলে হয়তো মানুষ তাঁকে নিয়ে ট্রল করতেন না, বরং তাঁকে উৎসাহ দিতেন। যাই হোক এখনো সময় আছে তাঁরা যদি দৃষ্টিভঙ্গি না বদলান তাহলে সমাজ এবং দেশ কখনোই বদলাবে না। তিনি হিরো আলম হয়ত মারা যাবেন কিন্তু তাঁর লেখা বইটি থেকে যাবে এবং একদিন না একদিন তাঁর এই লেখাগুলো সকলকে কাঁদাবে।