রোজ চার লাখের মা’দ’ক লাগে! নিজের মাকে এমন মে’রে’ছি’ল হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়! নোবেলকে নিয়ে বিস্ফোরক প্রাক্তন স্ত্রী

আবারও খবরে চলে এলেন বাংলাদেশী গায়ক মইনুল হাসান নোবেল। বিতর্কতেই বাঁচেন তিনি। নিজের অসভ্য আচরণ, অহংকার, ঔদ্ধত্যের জন্য সব সময় তিনি বিতর্কের জন্ম দিয়ে থাকেন।

কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চেই মা’ত’লা’মি করেন নোবেল। নে’শা’য় চুর হয়ে মঞ্চে উঠে অশালীন আচরণ করেন এই উদ্ধত গায়ক। মাইক্রোফোন হাতে শুরু করেন মা’ত’লা’মি। এমনকী মাইক্রোফোনের স্ট্যান্ডও ভাঙচুর করেন তিনি। দর্শক শ্রোতারা এরপর নোবেলকে জুতো ও জলের বোতল ছুঁড়ে মা’র’তে শুরু করেন। কোন‌ওমতে গায়ককে সরিয়ে নিয়ে যান আয়োজকরা।

এই অপ্রীতিকর ঘটনার পর নোবেল সাফাই দিয়ে বলেছিলেন, স্টেজে ওঠার আগে একটু রিলাক্সেশনের জন্য এবং একটু ফিলিংসের জন্য ম’দ পান করেন নাকি তিনি। এরপর ক্ষমাও চেয়ে নেন। তবে এটা শুধুমাত্রই লোক দেখানো নাটক। এমনটাই বলেছিলেন নোবেলের স্ত্রী সালসাবেল মাহমুদ। সারেগামাপা পরবর্তী নোবেলের একটি মিউজিক ভিডিওতে দেখা মিলেছিল সালসাবেলের। স্বামীর এহেন আচরণকে কখনই মেনে নেননি তিনি। যদি বর্তমানে নোবেলের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে তাঁর। কিন্তু এখনো অফিসিয়াল কিছু কাজকর্ম বাকি।

এই বিষয় নিয়ে সালসাবেল জানিয়েছিলেন, ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশনটা উকিলকে বলে কিছুদিনের জন্য স্থগিত রেখেছিলেন তাঁরা। সম্পর্ক ভাঙা তো খুব সহজ নয়। তিনি জানিয়েছিলেন তাঁদের ব্যক্তিগত কথোপকথনের সময় নোবেল তাঁকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, তিনি কখনই মা’দ’ক ছাড়বেন না। মা’দ’কে’র জন্য তিনি বউকে ছাড়তেও রাজি।

আর এবার নোবেল সম্পর্কে আরও একটি বিস্ফোরক তথ্য দিলেন সালসাবেল। তিনি দাবি করেছেন প্রতিদিন নোবেলের মা’দক লাগে প্রায় ৪ লাখ টাকার। তিনি জানিয়েছেন আগে নোবেল এমন ছিলেন না। নামাজ পড়তেন। অন্যরকম এক মানুষ ছিলেন। আগে অবশ্য সালসাবেল অভিযোগ করে বলেছিলেন, বাংলাদেশে মা’দ’ক বিক্রি এবং মা’দ’কে’র যোগানের পিছনে বহু উচ্চপদস্থ মানুষদের হাত রয়েছে। তিনি বলেছিলেন, নোবেলের এত সহজে মা’দ’ক’দ্রব্য প্রাপ্তি ও মা’দ’কে’র আসক্তির পিছনে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের হাত আছে।

নোবেলের প্রাক্তন স্ত্রী জানিয়েছেন সোশ্যাল মাধ্যমে ডিভোর্সের ঘোষণার পর থেকে মাঝে মধ্যেই হুমকি ফোন পাচ্ছেন। তাঁর কথায়, ফেসবুকে যেদিন থেকে পোস্ট করেছি সেদিন থেকেই এই ফোনগুলো আসছে। যেখানে বলছে ‘গুম করে দেব’। নোবেলের কীর্তিকলাপ নিয়ে মুখ খুলে তিনি জানিয়েছেন, নোবেল যে শুধুমাত্র তাঁর গায়ে হাত তুলেছে এমনটা নয়। সে তার নিজের মায়ের গায়েও হাত তুলেছে। নিজের মাকে সে এমন মে’রে’ছে যে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল। নোবেলের এইসব আচরণের জন্য এখন তাঁর পরিবার তাঁর বাবা কেউই আর তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখে না।