মাঝে মাঝে এমন কিছু ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে যা দেখে অবাক হয়ে যেতে হয়।এবার দেখা গেল হাত ভেঙে ব্যবসা বন্ধ করে বাড়িতে বসে আছে বাবা তাই পরিবারকে সাহায্য করতে এবার ফুচকার ঠেলাগাড়ি নিয়ে নিজেই পথে নেমেছে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী। ঘটনাটা বোলপুরের বিশ্বভারতীর সামনে ঘটেছে।
বিশ্বভারতী চত্বরের কমবেশি সকলেরই পরিচিত ছিলেন ফুচকা বিক্রেতা কপিল দেব শাহ। কিন্তু টোটোর সঙ্গে ধাক্কা লেগে হাত ভেঙে যায় কপিল বাবুর। সেই সময় ধারদেনা করে 50 হাজার টাকা দিয়ে হাতে বসাতে হয় প্লেট তবে ডাক্তার কোন কাজ করতে বারণ করেন আগামী তিন মাস। তাই অথৈ জলে পড়ে কপিল দেব বাবু এবং তার পরিবার।
এমনিতেই লকডাউন এর সময় ফুচকা বিক্রি বন্ধ থাকায় অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল কপিল বাবু কে। তারপরে দুধ বিক্রির ব্যবসা শুরু করলেও অভাব মেটেনি সংসারে। তবে বাবার এমন হাল দেখে এবার নিজেই সংসারের হাল ধরল নবম শ্রেণীর কবিতা।ছোট থেকেই বাড়িতে ফুচকা তৈরি হতে এবং বাবাকে পথে ফুচকা বিক্রি করতে দেখেছে এই নবম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী তাই পুরো ব্যাপারটা রপ্ত করতে তার বেশি সময় লাগেনি।
বর্তমানে প্রতিদিন বিকেলে বোলপুরের বাঁধগোরার সবুজপল্লি থেকে ফুচকার গাড়ি ঠেলে নিয়ে শান্তিনিকেতনের ফার্স্ট গেটের সামনে যায় কবিতা। সন্ধে পর্যন্ত ফুচকা বিক্রি করে ফিরে যায় বাড়ি। দেড় মাসের ফুচকা বিক্রিতে সে বেশ পাকা পোক্ত হয়ে উঠেছে। তবে এতকিছুর পরেও সে কিন্তু নিজের পড়াশোনা ছাড়েনি। সে এখন অনলাইনে ও ক্লাস করে আবার মাঝে মাঝে টিউশন ও পড়তে যায়। তার কারণ তাকে সামনের বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে হবে যে। আর এর মাঝখানে পুরো পরিবারের জন্য তার লড়াই কে কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা নেট পাড়া।