“বন্ধু হোক বা শত্রু, যোগ্যতা দরকার…আমার শত্রু হতে গেলে যোগ্যতা লাগবেই!” “কাউকে ছোট করে নিজেকে খুব একটা বড় করা যায় না”— কুণাল ঘোষ প্রসঙ্গে বিস্ফো’রক মন্তব্য, ‘রঘু ডাকাত’ বিতর্কে মুখ খুললেন দেব!

পুজোর মরশুমে টলিউডের (Tollywood) একের পর এক বড় বাজেটের ছবি মুক্তি পেয়েছে ইতিমধ্যেই। সেই তালিকায় ‘রক্তবীজ ২’, ‘দেবী চৌধুরানী’ আর ‘রঘু ডাকাত’-এর মতো ছবি থাকলেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে দেব (Dev) এর ‘রঘু ডাকাত’ (Raghu Dakat)। ছবি মুক্তির আগে থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়, এখনও থামেনি। এরই মাঝে তৃণমূল মুখপাত্র ‘কুণাল ঘোষ’ (Kunal Ghosh) কড়া মন্তব্য করে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত, রঘু ডাকাতের প্রচারে যেন রাজনৈতিক রঙ মিশে যাচ্ছে।

কুণাল ঘোষ সরাসরি বলেন, “প্রতিটা জেলায় যেভাবে ছবির প্রচার হচ্ছে তাতে ছবির টাইটেল কার্ডে তৃণমূলের নামও থাকা উচিত!” এই বক্তব্যে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। তিনি কেবল দেবের ছবিই নয়, অন্যদের নিয়েও মন্তব্য করেছেন। ‘রক্তবীজ ২’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “থ্রিলার হিসেবে এই ছবির মেকিং দুর্দান্ত, আবীর–মিমির অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রিও জমজমাট।” এর সঙ্গে তিনি তুলনা টেনে দেবের ছবির অ্যাকশন সিনকে তির্যকভাবে কটাক্ষ করেন।

তবে বিতর্ক এখানেই থেমে থাকেনি। এর আগেও দেবের ছবি নিয়ে মন্তব্য করতে দেখা গেছে কুণাল ঘোষকে। কখনও অভয়া আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে সোহিনী সরকারের কাজ নিয়ে টিপ্পনি, আবার কখনও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বা মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়েও কটাক্ষ করেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই দেব ভক্তদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ জমেছে এই ঘটনায়। এই পরিস্থিতিতে অবশেষে মুখ খুললেন দেব নিজেই। নৈহাটির বড়ো মার মন্দিরে ‘রঘু ডাকাত’ ছবির প্রমোশনে দেবকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।

সবকিছু শুনে তিনি প্রথমে হেসে উড়িয়ে দেন। পরে শান্তভাবে উত্তর দিয়ে বলেন, “বন্ধু হতেও যোগ্যতা দরকার, শত্রু হতেও যোগ্যতা দরকার। কাউকে ছোট করে নিজে খুব একটা বড় হওয়া যায় না। আর আমার শত্রুরও যোগ্যতা লাগবেই!” দেব জানান, কুণাল ঘোষ তাঁর কাছে গুরুজনের মতো,সে কী মন্তব্য করলেন তা নিয়ে তিনি চিন্তিত নন। বরং এই পরিস্থিতিতে নীরব থাকা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করেন তিনি। তবে দেব শুধু বিতর্ক নয়, নিজের ছবি নিয়েও কথা বলেছেন।

আরও পড়ুনঃ “সমকামী চরিত্রে অভিনয়ের পর থেকেই সবাই ভাবছে আমি সমকামী, এখানেই চরিত্রের স্বার্থকতা!” সমকামী চরিত্র অভিনয় করে নেটিজেনদের কটা’ক্ষের মুখে পড়ে মুখ খুললেন সায়ক চক্রবর্তী!

মায়ের মন্দিরে এসে তিনি বিশেষ প্রার্থনা করেছেন, যেন দেশজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বিশ্বে যে যুদ্ধ পরিস্থিতির তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত, যেন সব বন্ধ হয়ে যায়। একইসঙ্গে তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করেন, বাংলা ছবিকে যেন জাতীয় স্তরে আরও সম্মান দেওয়া হয়। তাঁর বক্তব্য, তিনি অভিনয় করতে থাকবেন, নতুন গল্প বলবেন, দর্শকদের আনন্দ দেবেন। আর বিতর্ক নিয়ে তিনি মাথা ঘামাতে চান না, কারণ দর্শক-সমালোচকের প্রতিক্রিয়াই শেষ পর্যন্ত ছবির আসল পরীক্ষা।