এমন কাহিনী বিরল। বিশ্বাস করাটাও শক্ত। যেখানে সাধারণত উল্টো চিত্রটাই বেশি দেখা যায় সেখানে এমন ঘটনা ঘটলে তা শিরোনামে আসতে বাধ্য। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা যাদের রান্নায় সমস্যা তাদের ভরসা অনলাইন ফুড ডেলিভারি। তারা তাদের খাবার পেয়ে যান অথচ যারা পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছে সমস্যা মাথায় নিয়েই তাদের কথা সহজে কেউ মাথায় রাখে না।
তবে এবার ডেলিভারি বয়ের কাজের প্রতি নিষ্ঠা দেখে খুশি হলেন গ্রাহক। অন্যদিকে তার সমস্যায় সমব্যথী হয়ে হায়দ্রাবাদের সেই গ্রাহক ডেলিভারি বয়কে কিনে দিলেন বাইকও। আসল ডেলিভারির বয়দের কাছে একটি বিশাল বড় চ্যালেঞ্জ থাকে সঠিক সময়ের মধ্যে খাবার পৌঁছে দেওয়া। কিং কোটি এলাকার ডেলিভারি নয় মহম্মদ আকিল আহমেদও একই চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে কাজ করতো। তবে তার কাছে বাইক না থাকায় সাইকেল ছিল ভরসা।
৯ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে সে সঠিক সময়ের মধ্যে খাবার পৌঁছে দেয় মুকেশের কাছে। তবে মুকেশ তার যন্ত্রণার কথা বুঝতে পারে। কারণ সাইকেলে করে ৯ কিলোমিটার রাস্তা মাত্র কুড়ি মিনিটে পৌঁছানো সহজ নয়। তবে আকিল তা করে দেখিয়েছে। তাই খুশি হয়ে মুকেশ তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ছবি তুলে তা পোস্ট করে। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ার ফান্ড থেকে উঠে আসে ৬০ হাজার টাকা। এরপর সব মিলিয়ে প্রায় ৭৩ হাজার টাকা দিয়ে একটি বাইক কিনে সে উপহার দেয় আকিলকে। এক অচেনা, অজানা মানুষ যে তার এত বড় উপকার করার কথা ভাবলো তাতে আবেগাপ্লুত হয়ে যায় আকিল।