পোশাকে স্মার্ট হলেই হয় না! এই নোংরা দোকানে ফ্রিতে দিলেও খাবো না! নন্দিনীকে ধুয়ে দিলেন এই ব্যক্তি

বর্তমানে আমাদের জীবনের একটি বিশেষ অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। ঘুম থেকে উঠে চোখ মেলার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় মানুষের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচরণ। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম আর ইউটিউবে শুরু হয়ে যায় লাইক, শেয়ার আর কমেন্টের বন্যা। তারপরই বাসে, ট্রেনে যাওয়ার পথে বা অফিস- কলেজের বিরতিতে মানুষের কাছে অবসর সময় কাটানোর বর্তমানে সবচেয়ে বড় অস্ত্র সোশ্যাল মিডিয়া। চোখ খোলার পর থেকে রাতে ঘুমতে যাওয়া পর্যন্ত তারা তাদের অজান্তেই অনেকটা সময় কাটান সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এই সোশ্যাল মিডিয়ার কারণেই বর্তমানে বেড়েছে ভিডিও বানানোর ধুম। অর্থ উপার্জন হোক বা বিখ্যাত হওয়ার জন্য সকলের কাছে পৌঁছানোর একটা সহজ উপায় হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও বানানোও যেমন সহজ তেমনই সহজ শেয়ার। সেটা গানের ভিডিও হোক বা ট্রোলের। তেমনই বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় ফুড ব্লগিং ভিডিও। নানা রেস্তোঁরা, হোটেল, ক্যাফে বা সাধারণ ফুটপাতের দোকান। ফুড ব্লগাররা ভালো খাওয়ারের সন্ধানে পৌঁছে যায় সর্বত্র। খাওয়ারের মান কেমন, স্বাদ কেমন, আদৌ সেখানে খাওয়া উচিত কিনা সবটাই আপনাদের বর্তমানে জানায় ফুড ব্লগাররা।

তবে সেই ফুড ব্লগিং থেকে জনপ্রিয় নন্দিনীদি। কলকাতার ডালহৌসির মোড়ের একটি ছোট হোটেল থেকে শুরু হয় তার যাত্রা। তবে ইউটিউবের ফুড ব্লগারের ভিডিওর মাধ্যমেই জনপ্রিয়তা পান তিনি। রাতারাতি ভাইরাল গিয়ে যায় তার ভিডিও। তারপর থেকেই শয়ে শয়ে লোক আসতে শুরু করে তার হোটেলে। তার আর্থিক উন্নতিও বেড়ে যায় অনেক। তবে কিছু লোক যায় তার খাওয়ারের জন্য তার কিছু লোক সেখানে যান তার কথাবার্তা, কাণ্ডকারখানা লক্ষ্য করার জন্য। তবে তার ভিডিও মানেই এখন সেটি হয় যায় ভাইরাল।

আরো পড়ুন: “কচি বউ”তে মজে কাঞ্চন! সমাজ মাধ্যমে তাদের লোক দেখানো প্রেমলীলা দেখে কী বললেন প্রাক্তন স্ত্রী পিঙ্কি?

সম্প্রতি তিনি ইউটিউবে খুলেছেন একটি চ্যানেল। সেখানেই তার সমস্ত কথা তিনি জানান তার অনুসরণকারীদের। তার জনপ্রিয়তার কারণে তিনি গেছিলেন দিদি নম্বর ১এও। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন কিভাবে হল তার হোটেল। এছাড়াও সম্প্রতি তিনি হোটেল খুলেছেন নিউ টাউনে। তবে এবার সেখানেই বেঁধে গেল গোলযোগ। একজন গ্রাহক খেতে এসেছিলেন তার হোটেলে। না না সেখানে সমস্যা নেই, সমস্যা ঘটে তার পরেই। হোটেলের অপরিষ্কার পরিস্থিতি দেখে বেজায় রেগে যান গ্রাহক তিনি জানিয়েছেন কিছুতেই তিনি খাবেন না এরকম একটি অপরিষ্কার হোটেলে।

নন্দিনীদি তাকে বলেন ফ্রিতে খাওয়াবেন তিনি সেই গ্রাহককে কিন্তু তার কোনও কথাই মানতে নারাজ গ্রাহক তিনি বলেছেন “ভালো, পরিষ্কার পোশাক পরলেই হোটেল হয়না, হোটেল তাকেও পরিষ্কার রাখতে হয়। তিনি এও বলেছেন “আমি পালিয়ে এসেছি নাগের বাজার থেকে এইরকম নোংরা পরিস্থিতি দেখে কিন্তু সেখানেই দেখি একই অবস্থা। নিউ টাউনটাকেও তোমরা দিনে দিনে নোংরা করে দিচ্ছ।” নন্দিনী দি এবং গ্রাহকের কথোপকথন সবটাই রেকর্ড করেছেন একজন ব্যক্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই ভিডিওটি হয়েছে ভাইরাল। নানা রকমের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এই ভিডিওতে দর্শকরা।

অনেকে প্রশংসা করেছেন সেই বয়স জেষ্ট গ্রাহকের, বলেছেন “ঠিকই বলেছেন কাকু আপনি। সত্যি তাই দাঁড়াচ্ছে। আমিও ফেস করেছি।” আবার অনেকেই বলেছেন “এই মহিলা মর্ডান পোশাক পরে নিজেকে স্মার্ট দিদি করার চেষ্টা করছে, কিন্তু ব্যবসার জন্য ব্যবসার জায়গাটাকে পরিষ্কার রাখতে হয় সেটাই উনি জানান না। একদম উচিত কথা বলেছেন আপনি।” তাহলে কি মনে হয় আপনাদের নেটিজেন এইরূপ প্রতিক্রিয়া কি প্রভাব ফেলবে নন্দিনীদির ব্যবসায়?