বড় পর্দা বা টেলিভিশনের পর্দায় আমরা মোগলিকে দেখেছি। সেই মানবশিশু যে কী না ছ’মাস বয়স থেকে জঙ্গলের পশুদের সঙ্গে থাকতে থাকতে পশুদের মতোই জীবন কাটাতে থাকে। মা-বাবা না থাকা সেই শিশুটি পশুকেই নিজের মা, বাবা , ভাইরূপে স্বীকার করে নেয়। তবে শুধু পর্দাতেই নয়, বাস্তব জীবনেও এমন মোগলির খোঁজ মিলেছে।
ফলমূল খেয়ে বেঁচে থাকা থেকে শুরু করে মানুষ দেখেই জঙ্গলে লুকিয়ে পড়া, এমন সব বৈশিষ্ট্যই এলির মধ্যে দেখা যেত। তাঁর জীবন কোনও পশুর থেকে কম ছিল না। তাকে তার মা-বাবা অনেক অনুরোধ করলেও, সে ঘরে ফিরতে চাইত না।
বাড়ির কোনও ভালোমন্দ খাবার তার মুখে রুচত না। জঙ্গলে থেকে সেখানে ঘাসপাতা, কলা খেয়েই জীবন কাটাত এলি। একমাত্র নিজের মা-বাবাকেই পছন্দ করত এলি। অন্যান্য কোনও মানুষ দেখলেই জঙ্গলের ভিতর পালিয়ে যেত সে। এলির মা জানান এলি তাদের একমাত্র সন্তান। তাঁর আগের পাঁচ সন্তান জন্মের পরই মারা যায়।
ছোটো থেকেই এলি এক বিরল রোগে আক্রান্ত। আর পাঁচটা স্বাভাবিক মানুষের থেকে আলাদা তাঁর জীবন। তবে বর্তমানে তাঁর জীবনে বদল এসেছে। সম্প্রতি স্কুলে ভর্তি হয়েছে এলি। প্যান্ট-শার্ট পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যেতে দেখা গেল এলিকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে।
এই ভিডিওতে এলিকে দেখা যাচ্ছে বেশ শান্তশিষ্ট অবস্থাতেই স্কুলের ইউনিফর্ম পরে স্কুল যাচ্ছে সে। ছেলেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে দেখে বেশ খুশি এলির মা-বাবা। তাঁকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে ও তাঁর চিকিৎসার জন্য অনুদান সংগ্রহ করছেন স্থানীয়রা।