বিরিয়ানির প্রতি আকর্ষিত নন, এমন মানুষ খুব কমই রয়েছে। বিরিয়ানির নাম শুনলে বা বিরিয়ানির গন্ধ নাকে গেলে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া অসম্ভব ব্যাপার। আর তরুণ প্রজন্মের কাছে তো বিরিয়ানি মানে ভালোবাসা। তবে সাধারণ দোকানে এল প্লেট বিরিয়ানি মানে খরচ ৮০-১০০ টাকা। আর বড় বড় রেস্তোরাঁতে তো আরও বেশি। কিন্তু এরই মধ্যে যদি ১০ টাকায় এক প্লেট বিরিয়ানি পাওয়া যায়, তাহলে?
কী? ভাবছেন মজা করছি? নাহ্, একেবারেই মজা নয়। ১০ টাকাতেই বিক্রি হচ্ছে এক প্লেট বিরিয়ানি তাও আবার খোদ এই রাজ্যেই।
পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরেই মিলছে এই ১০ টাকা প্লেটের বিরিয়ানি। তাও আবার চিকেন বিরিয়ানি। আর সেই বিরিয়ানির স্বাদ নিতে ভিড় জমছে আট থেকে আশি সকলের। শুধু বিরিয়ানিই নয়, এই স্টলেই মিলছে ৫ টাকা প্লেটের পাস্তা, চাউমিনও।
কাটোয়া শহরের পানুহাটের বাসিন্দা হলেন শ্যামল দেবনাথ। তিনি নিজের ঠেলা নিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরে খাবার বিক্রি করেন। তাঁর স্টলে পাওয়া যায় নানান মুখরোচক খাবার।
দিনের দু-আড়াই ঘণ্টা তিনি কাটান কাটোয়ার পানুহাটের রাজমহিষী উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের সামনেই। সেখানে স্কুলের টিফিন টাইমে পড়ুয়ারা ভিড় জমায় তাঁর এই স্টলে।
গত কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে, অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি বিরিয়ানিও বিক্রি করছেন শ্যামলবাবু। আর চিকেন বিরিয়ানির দাম মাত্র ১০ টাকা প্লেট। হাঁড়ি ভর্তি বিরিয়ানি শুধু নিয়ে আসার দেরি। মুহূর্তে যেন তা উবে যাচ্ছে।
শুধু পড়ুয়ারাই নয়, শহরের অনেক দোকানের কর্মচারী থেকে আশপাশের বাসিন্দারা আসছেন ১০ টাকার বিরিয়ানি কিনে টিফিন সারতে।
এই প্রসঙ্গে শ্যামল দেবনাথ বলেন, “অল্প দামে বিরিয়ানি বিক্রি করছি। তাই প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। কেউ ২০ টাকা বা ৫০ টাকা প্লেট বিরিয়ানি চাইলেও পাবেন। তবে পড়ুয়াদের দিকটা মাথায় রেখেই ১০ টাকার বিরিয়ানি চালু করেছি”।
শ্যামলবাবুর স্টলে এই ১০ টাকার চিকেন বিরিয়ানি খেতে রীতিমতো ঠেলাঠেলি লেগে যায়। বিরিয়ানির সঙ্গে থাকে অল্প স্যালাডও।
এছাড়াও ৫ টাকা প্লেটের পাস্তা বা চাউমিনও রয়েছে। শ্যামলবাবু আরও বলেন, “করোনার জন্য ২ বছর স্কুলগুলি বন্ধ ছিল৷ তখন ঠ্যালা গাড়ি নিয়ে খুব একটা বেরতে পারিনি। খুব খারাপ সময় কেটেছে। এখন ভালই বিক্রি হচ্ছে”।