বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি, সত্যিই তো এই পৃথিবীর কতটুকু জানি আমরা? জানার কী কোনো শেষ আছে! বিজ্ঞানের কত জিনিস শেখার আছে আমাদের। এবার পৃথিবীর শেষের সে দিনগুলিতে কী কী ঘটনা ঘটেছিল তা যদি কোনও পরবর্তী প্রজন্ম বা সৌরমণ্ডলের ভিন্ মুলুক থেকে আসা কেউ কখনও যাতে জানতে পারেন তার জন্য অস্ট্রেলিয়ার টাসমানিয়া দ্বীপে বসানো হচ্ছে বিশাল আকারের একটি ‘ব্ল্যাক বক্স’। যা কোনও ভাবেই ধ্বংস করা সম্ভব নয়।
সত্যিই বিষয়টি কী অভিনব,তাই না? জানা গেছে অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া দ্বীপে বসানো হচ্ছে এই বিশালাকৃতির ব্ল্যাক বক্স।এ যেন একেবারে বিমানের ব্ল্যাক বক্স এর মত। কোন বিমান ভেঙে পড়ল সেই বিমানের ব্ল্যাক বক্স থেকে জানা যায় শেষ মুহূর্তে পাইলট এর সঙ্গে কন্ট্রোল রুমের ঠিক কী কী কথা হয়েছিল, কীভাবে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছিল বিমানটিকে আর কেনই বা বাঁচানো যায়নি।
পৃথিবীর এই ব্ল্যাক বক্স এর ওয়েবসাইট জানিয়েছে যে আগামী বছর তাসমানিয়ার কোন এক দুর্গম অঞ্চলে স্থাপন করা হবে এই ব্ল্যাকবক্স। পৃথিবীর এই ব্ল্যাক বক্সটি বানিয়েছে তাসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, আরও দুটি সংস্থা— ‘ক্লেমেঙ্গার বিবিডিও’ এবং ‘দ্য গ্লু সোসাইটি’র সহযোগিতায়।
ব্ল্যাক বক্সের ওয়েবসাইট জানিয়েছে, উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রাণী ও উদ্ভিদের কোন কোন প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে, কী হারে বেড়ে চলেছে পরিবেশ দূষণের মাত্রা, আর সেই সবের কী কী প্রভাব পড়ছে এই প্রজন্মের মানুষের স্বাস্থ্যে, অর্থনীতিতে, সেই সব তথ্যই এতে ধরা থাকবে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে।