Rituporno-Dev: মহানায়ক দেব’কে নায়ক বানিয়ে চিত্রনাট্য লিখেছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ! নায়িকা হতেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, ‘আজ ও বেঁচে থাকলে…’ এখনও আফশোস করেন নায়িকা

৩১ আগস্ট এই বহুমুখী প্রতিভার জন্মদিন। তিনি হলেন পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। তবে জনমহল থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রি সবার কাছে তিনি আদরের ঋতুদা। এই স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব চলে যাওয়ার পরেও একইভাবে থেকে গেছেন তাঁর সৃষ্টিতে তাঁর অনুরাগীদের হৃদয়ে। সেই অনুরাগীদের দলে শুধু তাঁরা নেই যাঁরা সিনেমা দেখেন, বরং তাঁরাও রয়েছেন যাঁরা সিনেমা বানান, সিনেমায় কাজ করেন, সেটাকে জীবন্ত করে ফুটিয়ে তোলেন।

Rituparno Ghosh: Different and daring - Frontline
আজ এই স্বনামধন্য পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্মদিনে তাঁর জন্যে মনে জমানো কিছু কথা পাতায় লিখে প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তাঁর পরিচয় আলাদা করে দিতে লাগে না। নামই যথেষ্ট।

birthday

তবে আজ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়ে নয়, ঋতুপর্ণ ঘোষকে নিয়ে আলোচনা করবো। এক প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমের হয়ে কলম ধরেছিলেন স্বয়ং ঋতুপর্ণা। লিখেছেন ঋতুদাকে নিয়ে মনের নানা কথা।

নায়িকা পরিচালকের সঙ্গে মাত্র দুটি সিনেমায় কাজ করেছেন। কিন্তু ওই লাইট, ক্যামেরা আর অ্যাকশন দৃশ্যের বাইরেও একটা জগৎ ছিল দুজনের। ঋতুপর্ণ ঘোষের কখনও মৃত্যু হতে পারে না, মনে করেন এই অভিনেত্রী। ছোটদের ছবি ‘হীরের আংটি’র হাত ধরে ঋতুদার যাত্রা শুরু হয় যা শেষ হলো ‘চিত্রাঙ্গদা’ দিয়ে।

Book Review: Rituparno Ghosh: Cinema, Gender and Art edited by Sangeeta  Datta, Kaustav Bakshi and Rohit K. Dasgupta | LSE Review of Books
মহিলাদের মনকে নাকি তাঁদের মতো করেই বুঝতেন ঋতুপর্ণ, এমনটাই ভাবনা এই নায়িকার। অভিনেত্রীর সঙ্গে বন্ধন এতটাই গভীর ছিল যে বিয়ের কার্ড আঁকা থেকে তাঁকে চন্দন পরানো সব কাজ নিজে করেন ঋতুপর্ণ। জন্মদিন এলেই এগুলো মনে পড়ে নায়িকার আর মনটা আরো ছটফট করে তাঁর।

Rituparna Sengupta, Sreela Majumdar lend their voices to Indrasis Acharya's  Parcel
তবে এই সূত্রেই নিজের এক আক্ষেপ প্রকাশ করলেন নায়িকা। শেষ যে চিত্রনাট্যটা শুনিয়েছিলেন, সেই কাজটা অসম্পূর্ণ রয়ে গেলো। তাতে কাজ করার কথা ছিল দেব, ঋতুপর্ণা এবং প্রিয়াংশুর। কিন্তু তারপরেই একটা হাওয়া এসে সব শেষ করে চলে গেলো। সেই সঙ্গে চলে গেলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ।

Dev Adhikari Announced His Upcoming Two Films Projapoti And dgtl -  Anandabazar
তবে এখনও একটা ইচ্ছে রয়েছে নায়িকার। ওই চিত্রনাট্য একবার হাতের কাছে পেলে নিজেই কাজ শুরু করতে পারতেন তিনি। বাংলা সিনেমাকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে গিয়েছিলেন ‘উৎসব’- এর মধ্যে দিয়ে। এই চল শুরু করেন ঋতুপর্ণ ঘোষ নিজেই। ‘দহন’-এর রোমিতা হোক কিংবা ‘উৎসব’ ছবির কেয়া ঋতুপর্ণা এখনও এটাই মানেন যে নারী মনকে ঋতুদার চেয়ে বেশি ভাল কেউ চেনেনি।