Arunima Halder: আয় তবে সহচরী’র বরফি এখন টিপু’কে ছেড়ে প্রেম করছে রব দে’র সঙ্গে! জোর গুঞ্জন উঠতেই তড়িঘড়ি সত্যি জানালেন অরুণিমা হালদার, শুনে অবাক নেটিজেনরা
স্টার জলসার দর্শকদের জন্য শাশুড়ি-বৌমার সম্পর্কের এক নতুন স্বাদ এনে দিয়েছিল ধারাবাহিক আয় তবে সহচরী। বৌমা-শাশুড়ির মারকাটারি জুটি মিলে যে কাউকে জব্দ করতে পারে এমন একটা ধারণা তৈরি হয়েছে এই ধারাবাহিক থেকে। যেখানে একটা সময় বাংলা সিরিয়াল জুড়ে শুধুই ছিল শাশুড়ি বৌমার সংসারিক অশান্তি এবং কুটকাচালি, সেখানে এই ধারাবাহিক পুরনো সম্পর্ককে নতুন মোড়কে হাজির করেছে।
ধারাবাহিকের শাশুড়ি এবং বৌমার চরিত্রে অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় করছেন বাংলা টেলিভিশনের নবাগতা নায়িকা অরুণিমা হালদার। ধারাবাহিকে এই চরিত্রের নাম বরফি। নতুন হলেও এই চরিত্রের মাধ্যমে দর্শকদের বিপুল প্রশংসা লাভ করেছেন এই অভিনেত্রী।
একেবারে ছোট বয়স থেকেই অভিনয় জগতের সঙ্গে আলাপ ছিল অরুণিমার। নান্দীকার থিয়েটার গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন খুব ছোট বয়স থেকে। বর্তমানে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে কলেজের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন এই ছোট্ট মেয়েটি। তবে বাংলা টেলিভিশনে অভিনয় করার আগেই অরুনিমা বেশ কিছু ছবি এবং ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে ফেলেছেন। ‘তৃতীয় অধ্যায়’ এবং ‘বেলাশেষে’ অরুনিমা অভিনীত দুটি সিনেমা যেখানে দ্বিতীয় সিনেমাটিতে তিনি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং স্বাতীলেখার সেনগুপ্তর নাতনির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নায়িকার ব্যক্তিগত জীবনের একটি বিষয় ফাঁস হয়ে গেছে। কার সঙ্গে এখন প্রেম করছেন সহচরীর বৌমা জানেন? আসলে সামনে পুজো, আর পুজোর কটা দিন একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো প্রেম। কেউ নতুন নতুন প্রেমে পড়ে আবার কেউ পুরনো প্রেমিক বা প্রেমিকা সঙ্গে ভালো করে সময় কাটাতে চায়। নায়িকার কিন্তু কোনবার পুজোয় পুজো স্পেশাল প্রেম হয়ে ওঠেনি।
তবে নায়িকা যখন আয় তবে সহচরী ধারাবাহিককে অভিনয় করতেন তখন একটা গুজব ছড়িয়ে ছিল যে তিনি নাকি বাস্তবে “টিপু” অভিনেতা ইন্দ্রনীল চ্যাটার্জীর সঙ্গে প্রেম করছেন। আর এখন সিরিয়াল শেষ হয়ে যাওয়ার পর অনেকেই মনে করছে নায়িকা নাকি এখন প্রেম করছেন রব দের সঙ্গে। তবে সমস্ত কিছু অস্বীকার করে নায়িকা পুরোপুরি জানিয়ে দিলেন তিনি এখন সম্পূর্ণরূপে সিঙ্গেল। কিন্তু রব তাঁর খুব ভালো বন্ধু তাই টুকটাক ঘোরাঘুরি চলতেই থাকে।
View this post on Instagram
এবার পুজোয় অরুণিমার বিশেষ কোন প্ল্যান নেই। তবে পুজোর সময় কলকাতার বাইরে যাওয়ার কথা ভাবতেই পারেন না। কিন্তু পুজোর সময় তিনি কলকাতার কোন প্যান্ডেলেও যান না কারণ তিনি ভিড় পছন্দ করেন না। তবে বাড়িতে থেকে বন্ধুদের সঙ্গে এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। আড্ডা মারা, গল্প করা, খাওয়া-দাওয়া এগুলি চলতেই থাকে।