স্টার জলসার (star jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো শুভ বিবাহ (Subho bibaho)। এই ধারাবাহিকে দেখা যায়, সুধাকে একটা কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে ঠাম্মি, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফন্টে কাতলাদের খুঁজে বার করে ঠাম্মির সামনে আনতে হবে। কিন্তু এই কাজ পুলিশের পক্ষেও অসম্ভব বলে জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ তাহলে সুধা কি পারবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই অসাধ্য সাধন করতে!
Subhobibaho 1 September 2024 episode(শুভ বিবাহের ১ সেপ্টেম্বরের এপিসোড আপডেট)
পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রাত হতেই রেশমি, টলি সকলে সুধার হাতে হাত লাগিয়ে ঠাম্মির ঘর সুন্দর করে সাজানোর কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে। এর মধ্যেই উজ্জ্বল জ্যোৎস্নাকে বলে, চলো না নীচে সবাই মজা করছে, আমরাও যাই , একটু মজা করি কিন্তু জ্যোৎস্না বিরক্ত হয়। কিন্তু উজ্জ্বল তাকে জোর করে নিয়ে যায়। এরমধ্যেই দেখা যায় তেজের মা, কাকিমা সবাই চলে এসেছে, ওনারা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেন, ঠাম্মির ঘরে এসব কী হচ্ছে?
সুধা তখন বলে, কাল তো ঠাম্মির জন্মদিন,তাই আমরা ঠাম্মির ঘর সাজাচ্ছি। তখন সুধার মেজো কাকিমা বলে, সুধা তোমার বিবেক বুদ্ধি বিবেচনা অনেক ভালো কিন্তু আমাদের দিয়ে কী সত্যি কোনও কাজ হবে? তখন সুধা মেজ কাকিমাকে নারকেল কোঁড়ার কাজ দেয় আর শাশুড়ি মাকে পোস্ত বাটতে বলে। ওদিকে তেজ ভাবে এত রাত হয়ে গেল সুধা ঘুমোতে এলো না, নিশ্চয়ই কোনও গন্ডগোল করছে!
ওদিকে দেখা যায় , ঝিনুক তার দাদাকে বলে, দাদা তুই আমাকে সাহায্য করবি তো? তখন দাদা বলে, সুধার ভালোর জন্য যেটা করতে হয় আমি নিশ্চয়ই করব। তুই এত ভাবিস না তো। এরপর তাদের জীবন খুব বোরিং এই বলে তারা কথাবার্তা বলতে থাকে এবং বড়লোক হলে তারা পার্টি করতে পারতো এটাও বলতে থাকে। তখন সুধার দাদা বলে কিন্তু পার্টি করে কীভাবে সেটাই তো জানিনা! ঝিনুক তখন বলে কেন দোয়েল দি আমাদের শিখিয়ে দেবে! – এটা যে দোয়েলের জন্য একটা পাতা ফাঁদ সেটা বুঝতে না পেরে দোয়েল রাজি হয়।
এদিকে রাত হতেই তেজ নীচে চলে আসে, আর বলে কি ব্যাপার কি? কি করছেন এখানে? সুধা তখন বলে, চুপ করুন নাহলে সারপ্রাইজ পার্টিটা আর সারপ্রাইজ পার্টি থাকবে না! তখন তেজ বলে, সকলকেই তো দেখছি নিজের দলে টেনে নিয়েছেন তাহলে আমি আর বাকি থাকি কেন? এটা শুনে সুধা খুব খুশি হয়ে যায়। সবাই মিলে হাতে হাতে কাজ করতে থাকে। ওদিকে দোয়েল মদ নিয়ে আসে আর সকলকে অফার করতে শুরু করে ঝিনুক তখন বুঝতে পারে দোয়েলের মদের নেশা হয়ে গেছে।
আরো পড়ুন: ‘আপনি গিটারের সাথে তবলা ট্রাই করুন!’ সমালোচকদের গুরুত্ব দিই না বলায় ফের কটাক্ষের মুখে সায়ন্তিকা!
তখন ঝিনুক দোয়েলের ফোনটা নিয়ে নেয় আর ফন্টের সাথে করা চ্যাট গুলো দেখে বুঝতে পেরে যায় যে ফন্টে দোয়েলকে কব্জা করার চেষ্টা করছে। এরপর সুধার কথা অনুযায়ী দোয়েল হয়ে ফন্টেকে ম্যাসেজ করে ঝিনুক। সে কোথায় আছে জানতে চাইলে ফন্টে দোয়েল ভেবে ঝিনুককে বলে দেয় সে পুরোনো বিস্কুট কারখানার কাছে আছে আর সেটা জানতে পেরে যায় সুধা। অন্যদিকে সকালে উঠে চারিদিকে এত সারপ্রাইজ দেখে অবাক হয়ে যায় ঠাম্মি আর সুধাকে দেখে ঠাম্মি বলে, বড় নাত বৌ এটা আমার জীবনের সব থেকে বড় সারপ্রাইজ ছিল। আমার খুব ভালো লেগেছে। সুধা তখন বলে, এখনও বড় সারপ্রাইজটা বাকি আছে।