Anindya Chatterjee: ড্রাগের নেশায় নিজেকে শেষ করে দিচ্ছিল গাঁটছড়ার রাহুল অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়! স্ত্রী দ্যুতি সব জেনেও ছিল নিরুপায়!

বাংলা বিনোদন জগতে এবং টেলিভিশনের দুনিয়ায় অতি পরিচিত নাম অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। বড়পর্দার নিয়মিত মুখ যিনি বর্তমানে ‘গাঁটছড়া’য় নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের আবার মন জয় করে নিয়েছেন। হাসিখুশি-প্রাণবন্ত এই অভিনেতার ভয়ংকর একটা অতীত রয়েছে যার সম্পর্কে জানে না অনেকেই।

Tollywood actor Anindya Chatterjee 'looking for a job' on Facebook | Sangbad Pratidin

আজ গাঁটছড়ার রাহুল অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের কাজ নয় বরং ব্যক্তিগত জীবনের একটি অন্ধকারময় অধ্যায়ের কথা তুলে ধরতে চলেছি আমরা আপনাদের সামনে। জানলে শিউরে উঠবেন এটুকু বলতে পারি।


যদিও আজ অভিনেতা সগর্বে সেই অন্ধকারময় অধ্যায়ের কথা বলতে পারেন কারণ তিনি সেই অতীত কাটিয়ে বর্তমানে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। তাই সেই অন্ধকারময় অতীতের কথা তুলে ধরতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করেন না অনিন্দ্য। একটা সময় মাদকের নেশায় ডুবে নিজেকে তিল তিল করে শেষ করে দিচ্ছিলেন এই অভিনেতা।

এমনকি সেই নেশা এতটাই পেয়ে বসেছিল অনিন্দ্যকে যে নিজের নেশার টাকা জোগাড় করতে পর পর ধ্বংস করে গেছেন নিজের টাকা, মায়ের গয়না থেকে বাবার সঞ্চয়। ড্রাগের প্রতি আসক্তি কতটা মারাত্মক সেটা এখন বুঝলেই কেঁপে ওঠেন তিনি কিন্তু তখন ছিলেন নিরুপায়। তবে অবশেষে সেই লড়াইটা জিতে ফিরেছিলেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।

Anindya Chattopadhyay: This is my first award in 12 years of acting life, no regrets: Anindya Chattopadhyay | Actor Anindya Chattopadhyay receives best actor in negative role recently for playing Rahul in
সোমবার রাতে মাদকাসক্তির সময়কার একটি ছবি ও তাঁর এখনকার একটি ছবি পোস্ট করেছেন অনিন্দ্য। তাতে আবার লিখেছেন “এই ছবিটা পেলাম যেটা সম্ভবত ২০০৪-২০০৫ সালের। নেশায় আচ্ছন্ন দিন ছিল যেখানে শিরা খুঁজে পাওয়া যেত না, চোখের সামনে নিজের বন্ধুদের মারা যেতে দেখেছি… এখন যখন আমি প্রায় ১৫ বছর ধরে সম্পূর্ণ সুস্থ তখন ভাবি কিভাবে এই নরক সহ্য করেছি? অলৌকিক বাস্তবে হয়। আমি তাতে বিশ্বাস করি”।

যদিও এটা প্রথমবার নয় এর আগে অবহুবার বহু জায়গায় প্রকাশ্যে মাদকের নেশা থেকে দূরে থাকার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। এই বছর শুরুতে নিজের জন্মদিনের দিন নিজের লড়াইয়ের গল্প ফেসবুকে প্রকাশ করেছিলেন এই বাঙালি অভিনেতা। লিখেছিলেন না কোনদিন তিনি বিশ্বাস করতে পেরেছিলেন যে নেশা ছাড়তে পারবেন আর না কেউ সেটা অভিনেতাকে বিশ্বাস করাতে পেরেছিলেন। তবে আজ এত বছর পরেও এতটা লড়াই শেষে যখন কেউ অভিনেতার সঙ্গে রাস্তায় সেলফি তুলতে চায় তখন পুরোটা বিশ্বাস হয় না অভিনেতার এখনো সবকিছু স্বপ্নের মত তাঁর কাছে।