বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এই মুহূর্তের জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল সন্ধ্যাতারা (Sandhyatara)। টিআরপি তালিকায় মনে দাগ কাটার মতো পারফরমেন্স না করতে পারলেও দর্শকদের মনে দাগ কাটতে সফল হয়েছে এই ধারাবাহিকটি। রোহিত সামন্ত ও সাহানা দত্তের প্রযোজনা সংস্থা মিসিং স্ক্রু’র (Missing Screw Production House) তরফে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিকটি ভীষণই অল্প সময়ে দর্শকদের মনোরঞ্জনে সক্ষম হয়েছে।
স্টার জলসায় এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে আবারও টেলিভিশনের দুনিয়ায় পা রেখেছেন অভিনেত্রী অন্বেষা হাজরা। এবং আসতেই ধামাকা করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন পর এই অভিনেত্রীকে কাছে পেয়ে দর্শকরাও ভীষণ রকমের খুশি। দারুণ রকমের প্রাণবন্ত এই ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকা জুটি। এই কারণেই এতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে সন্ধ্যাতারা।
এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়েই অন্বেষার বিপরীতে অভিনয় করছেন নবাগত অভিনেতা সৌরজিৎ ব্যানার্জি। এর আগে রাজ চক্রবর্তীর প্রোডাকশনে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। কিন্তু ধারাবাহিকে এই প্রথম। আর আসতেই দারুণ জমাট বেঁধেছে তাদের সম্পর্ক। আসলে বাস্তব জীবনের ভালো বন্ধুত্ব রিফ্লেক্ট করছে পর্দায়। শুটিংয়ের মাঝে খুবই কম সময় পান আড্ডা দেওয়ার জন্য। কিন্তু তার মধ্যেই গড়ে উঠেছে দারুন বন্ধুত্বের সম্পর্ক।
দর্শকরা ভীষণ রকম পছন্দ করেন তাদের জুটি। একে অপরকে জয়-বীরু বলে ডাকেন তারা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে আসর জমিয়েছিলেন দুজনে। সেখানে মজার খেলায় মেতে ওঠেন দুই তারকা। তাদের মজার কান্ড কারখানায় হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যায় সবার। তবে সে যাই হোক। ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে শুরু হওয়া এই প্রেমের গল্প নিয়েও অকপট হয়েছিলেন অন্বেষা এবং সৌরজিৎ।
সেখানে সৌরজিৎ বলেন আকাশ নীল কিন্তু ধীরে ধীরে সন্ধ্যার প্রেমে পড়েছে কিন্তু সে বুঝে উঠতে পারছে না। মনে মনে সন্ধ্যাকে ভালোবাসে কিন্তু সেটা ব্যক্ত করতে পারছে না। কিন্তু আগামী দিনে হয়ত তার ভালোবাসার প্রকাশ ঘটবে। পরকীয়া প্রসঙ্গে অন্বেষাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন আমার স্বামী যদি আমাকে বিয়ে করার পর অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তাহলে অবশ্যই ঝামেলা করে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাব আমি। আর যদি আগে থেকেই অন্য কারর সঙ্গে সম্পর্কে থাকা সত্ত্বেও আমাকে লুকিয়ে বিয়ে করেন তাহলে তো তিনি প্রতারক। সেক্ষেত্রেও সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাওয়াই শ্রেয়। যদিও নিজেকে ধারার জায়গায় বসিয়ে তিনি বলেন তিনি কখনই পরিবারের কথা ভেবে নিজের ভালোবাসাকে লুকিয়ে যেতেন না। বরং অনেক বেশি করে স্পষ্ট ভাষায় জানাতেন নিজের ভালোবাসার কথা!