মিলেছে খু’ন-ধ’র্ষ’নের হুমকি! অভিশাপ কুড়িয়েছেন ছেলের মৃত্যুর! ছেলেকে নিয়ে গৃহবন্দি গোমাংস বিতর্কে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সুদীপা!

তিনি সুদীপা চ্যাটার্জী। বাংলা ও বাঙালির অন্যতম জনপ্রিয় মুখ। অভিনয় দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও সঞ্চালিকা হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তিনি। বাঙালি দর্শকদের কাছে সঞ্চালিকা হিসেবে তার দারুণ গ্রহণযোগ্যতা। যদিও এই মুহূর্তে তার সঞ্চালনায় কোন‌ও শো চলছে না টেলিভিশনের পর্দায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি!

আসলে বিতর্কে জড়ানোটা তার কাছে খুব একটা নতুন বিষয় নয়। আসলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে তিনি বিতর্কে জড়িয়েছেন। নিজের শাড়ি-গয়না নিয়ে অযাচিত বড়লোকিয়ানা জাহির করে, বা কখনও কোন‌ও মানুষকে অযথা ছোট করে নেটিজেনদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন তিনি। সম্প্রতি ওপার বাংলার একটি রান্নার শোয়ে উপস্থিত ছিলেন সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। তার সঙ্গে ছিলেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় নায়িকা তারিন জাহান । আর উক্ত শো’তে ঈদ উপলক্ষে গোমাংসের একটি পদ রান্নার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আর সনাতনী সুদীপার উপস্থিতিতে গোমাংসের পদ রান্না নিয়ে ঝড় বয়ে যায় এপার বাংলায়। যে ব্যক্তির বাড়িতে দুর্গাপূজা হয় তিনি কিভাবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোমাংস রান্না হ‌ওয়া উপভোগ করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন নেটিজেনরা। বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। ক্ষমা চাইলেও চিরে ভেজেনি। লাগাতার কটাক্ষবিদ্ধ হতে থাকেন সুদীপা।

খুন থেকে শুরু করে ধর্ষণের হুমকি পর্যন্ত পান সঞ্চালিকা।‌ শুধু কি তাই? মধুপা নামে জনৈক এক সোশ্যাল মাধ্যম ব্যবহারকারী লেখেন, “আপনার সন্তানের মৃত্যু আপনাকে চোখে দেখতে হোক, এটাই চাই ।” এমনকি সঞ্চালিকার প্রয়াত মাকে পর্যন্ত নোংরা কটাক্ষ করা হয়। এই ঘটনায় সুদীপার স্বামী মুখ খুললেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সুদীপা। সোশ্যাল মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেছিলেন, এটা যখন আপনাদের মনে এত আঘাত দিয়েছে। তাঁদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী, আবেগে আঘাত দেওয়ার জন্য। এই ধরণের কিছু ঘটলে সাবধান হব অনেক বেশি। তবে আমার না সত্যিই মাথায় আসেনি এটা হতে পারে!’

আরও পড়ুন: দুর্যোগ ঘনাচ্ছে মিঠিঝোরায়! রাইয়ের ভালো করার ছলনায় খারাপ করতে চাইছে শৌর্য্য! ফের রাইকে সন্দেহ করল অনির্বাণ! আদৌ কী হবে বিয়ে?

অভিনেত্রীর ক্ষমা চাওয়া সত্ত্বেও কটাক্ষ বন্ধ হয়নি। আদিদেবকে নিয়ে মন্তব্যের কারণে এখন‌ও পর্যন্ত ছেলেকে স্কুলে পাঠাতে পারছেন না সুদীপা। রয়েছেন পুলিশি নিরাপত্তায়। সুদীপার কথায়, ‘কিছুদিন পর হয়ত পাঠাব। তবে পুলিশ খুব সাহায্য করছে।’ তবে বাংলাদেশের মাটিতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার জল যে পদ্মা পেরিয়ে গঙ্গায় এতদূর গড়াতে পারে, তা বুঝতে পারেননি বলেই জানিয়েছেন সুদীপা।

Back to top button