মাকে সাধ খাওয়ানো হলো এবার বাবার সাধ ভক্ষণের পালা! মিঠাইয়ের সঙ্গেই পাত পেড়ে পঞ্চব্যঞ্জন খাবে উচ্ছে বাবু! ” বাবা হওয়াও তো সহজ নয়” সিরিয়াল শেষ হয়ে গেলেও থেকে যাবে এই শিক্ষা
মোদক পরিবারে এখন খুশির ঝড় উঠেছে। বহু বছর পর তাদের পরিবারের ছোট্ট সদস্য আসতে চলেছে। মিঠাই আর উচ্ছে বাবুর কোল আলো করে আসতে চলেছে তাদের প্রথম সন্তান, তাদের গোপাল। তাই গোপালের আগমনে যাতে কোন ত্রুটি না হয় বা কষ্ট না হয় সেই সমস্ত নজর রাখছেন গোটা পরিবারের প্রতিটি সদস্য।
যেদিন থেকে সদস্যরা জানতে পেরেছে মিঠাইয়ের শরীরের ভেতর বেড়ে উঠছে তাদের পরিবারের বংশধর তবে থেকেই সকলের প্রতি আরো বেশি করে কেয়ারিং হয়ে উঠেছে, তার যত্ন নেওয়া শুরু করেছে। স্বামী উচ্ছে বাবুর থেকে তো পদে পদে বকা খাচ্ছে মিঠাই রানী কারণ সে সিডি বয়ের বলে দেওয়া নিয়ম শুনছে না।
কিন্তু কেউ তো একবারও এটা দেখতে যায়নি যে মা হওয়া যেমন কষ্টের তেমন বাবা হওয়াও তো মুখের কথা নয়। এই আনন্দ তো হবু বাবা-মা দুজনের ক্ষেত্রেই সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া উচিত। মিঠাইকে সাধ খাওয়ানো হচ্ছে আর তার ঝলক চলে এসেছে চ্যানেলের তরফে। জমজমাটি আয়োজন হয়েছে একেবারে পাত পেড়ে খাওয়ানোর জন্য। সকলে মিলে মিঠাইকে খেতে বসায় এবং এক এক করে সমস্ত খাবার খায় সে।
কিন্তু মিঠাই শুধু তার পরিবারকে নয় সমাজকে বড় শিক্ষা দিয়ে যায় যে সন্তানের আগমনের ক্ষেত্রে মা-বাবার সমান ভূমিকা এবং সমান সম্মান প্রাপ্য। তাইতো শুধুমাত্র মেয়েদের সাধ ভক্ষণ হবে এটা কেন? ছেলেরাও তো বাবা হচ্ছে তাহলে তাদেরকে কি একটু খাতির যত্ন করা যায় না? তাই তো মিঠাই নিজের মুখে বলে তাকে যেমন মা হওয়ার আনন্দে খাওয়ানো হচ্ছে তেমন হচ্ছে বাবুকে কেন বাদ দেওয়া হচ্ছে? সেও তো বাবা হতে চলেছে।
View this post on Instagram
মিঠাইয়ের কথার যৌক্তিকতা অস্বীকার করতে পারে না বাড়ির কেউ। যদিও সিড এটা শুনে আবার ক্ষেপে যায় যে বউ আবার একটা অন্যায় আবদার শুরু করেছে। কিন্তু বিষয়টা একেবারেই ফেলনা বলে মনে করে না রাজিব বা দাদু। এতদিন সমাজের প্রচলিত বিশ্বাস ছিল যে একমাত্র মেয়েদেরকেই সাধ দেওয়া যায় এবং এইসব মেয়েলি রীতি-নীতি। কিন্তু মিঠাই সেই ধারণায় কুঠারাঘাত করলো।
View this post on Instagram
এর আগেও মিঠাই সমাজের কুসংস্কারের মূলে আঘাত করে নন্দার হাত দিয়ে পায়েস বানিয়ে খেয়েছেন। বন্ধ্যা মেয়েও যে শুভ অনুষ্ঠানের সামিল হতে পারে সেটা চোখের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে মিঠাই। এবার আবার সে চোখে আঙ্গুল দিয়ে এটাও শিখিয়ে দিল সমাজকে যে সন্তান আগমনের পূর্বে বাবা-মা দুজনকেই খুশির মুহূর্তটুকুতে সামিল করা যায়। কাউকে একজনকে বঞ্চিত করা উচিত নয়।