স্বভাব যায়না মলে। মদের বোতল অর্ডার করে মদ খেয়েছিল মেঘ-জিষ্ণু! ফের ভুল বুঝলো সন্দেহ বাতিক নীল

যে ধারাবাহিকটি একটা সময় অন্য ধারাবাহিকগুলির তুলনায় অনেক পিছিয়ে ছিল, যে ধারাবাহিকটিকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ ছিলেন নেটিজেনরা আর আজ সেই ধারাবাহিকটিই দর্শকদের মন জিতে নিয়ে ছুটে চলেছে। আজ সন্ধ্যা হলেই এই ধারাবাহিকটি চালিয়ে বসে পড়েন দর্শকরা টিভির সামনে।

একজন দর্শককে বিনোদন দেওয়ার সমস্ত রসদ রয়েছে এই ধারাবাহিকে।‌ তীব্র উত্তেজনা আর রোমাঞ্চে কানায় কানায় ভরপুর এই ধারাবাহিকটি। এই মুহূর্তে সমস্ত ধারাবাহিককে ছাপিয়ে গেছে এই ধারাবাহিকের জমাটি গল্পের বুননে।‌ বাঙালি দর্শকরা এখন মুগ্ধ এই ধারাবাহিকটি দেখছেন। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এই ধারাবাহিকটির আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা। এই ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী, নতুন করে মেঘ-সৌরনীলকে বিপদে ফেলার জন্য রূপের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করেছে ময়ূরী।‌

মেঘের সঙ্গে জিষ্ণুর নাম জড়িয়ে মেঘকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করে চলেছে কুটনি ময়ূরী। মেঘের নাম করে সে ভুয়ো প্রেমপত্র পাঠিয়ে সৌরনীলকে রায়চকে নিয়ে গেছে। অন্যদিকে আবার নীল ও অনিন্দ্য বাবুকেও মেঘের অনুষ্ঠানের নাম করে সেখানে পাঠিয়েছে। অন্যদিকে গানের অনুষ্ঠান করতে রায়চকে মেঘ আর জিষ্ণু পৌঁছেছে। কিন্তু সেখানেই মেঘের পানীয়র মধ্যে ওয়েটারের মাধ্যমে নেশার দ্রব্য মিশিয়ে দেয় রূপ। যাতে নেশা চড়ে গিয়ে মাতলামি করতে থাকে মেঘ।

এরপর জিষ্ণু মেঘকে সুস্থ করতে এলে তার সঙ্গে মেঘের নাম জড়িয়ে তাকে অপদস্থ করার চেষ্টা করে ময়ূরী। সেই সময় এন্ট্রি নেয় নীল আর মেঘ-ময়ূরীর বাবা।‌ সন্দেহ করা, ভুল বোঝাটাই একমাত্র কাজ নীলের। আর সেই কাজটাই আবার‌ও করে নীল। এর আগেও প্রত্যেকটা মুহূর্তে সে মেঘকে সন্দেহ করেছে। অপমান করেছে, সবার সামনে অপদস্থ করেছে।‌ কিন্তু তারপর‌ই ক্ষমাও চেয়েছে। বারবার মেঘকে মন পরিষ্কার করে ফেলব, সন্দেহ করব না বলে মাথা খারাপ করে দিলেও সন্দেহের উর্দ্ধে সে যেতে পারে নি।

উল্লেখ্য, স্বভাব কোন ভাবেই বদলায়নি নীলের।‌ মুখে সংশোধন করার কথা বললেও সে তা করতে পারেনি।‌ ধারাবাহিকের আগামী পর্বে দেখা যাবে, হোটেলের ম্যানেজার এসে মেঘের বাবা অনিন্দ্য বাবুকে বলেন মেঘ এবং জিষ্ণু নাকি অনেকগুলো মদের বোতল অর্ডার দিয়েছিল। নীল সেটাকেই সত্যি বলে বিশ্বাস করে।‌ সে ভাবে ইচ্ছে করেই মদ খেয়েছিল মেঘ। যাকে সে এত ভালোবাসে বলে দাবি করে তার কথার ওপর বিন্দুমাত্র ভরসা নেই তার।তখন তাকে গিনি বলে মেঘের ক্ষতি করার লোকের অভাব নেই। এবার কী বুঝবে মাথামোটা নীল?